আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া আত্মসমর্পণের পর তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, “হাইকোর্ট বিভাগ থেকে হাজী মো. সেলিমের যে রায় প্রকাশ হয়েছে, তাতে এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আমরা তার (হাজী সেলিম) সঙ্গে কথা বলেছি। এখন হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এক মাসের মধ্যেই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে আমরা আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করব।”
আইনজীবী আরও বলেন, “এই রায়ের পর্যবেক্ষণে আমরা যেটা দেখেছি, সেটা হলো উনাকে ২৬ ধারায় যে নোটিশ দিয়েছিল এবং ২৬ ধারায় তথ্য গোপনের অভিযোগে যে মামলাটি দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগ তাকে খালাস দিয়ে দেন। আর ২৭ ধারায় তার কোনো বৈধ আয়ের উৎস পায়নি বিধায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন, এটা ঠিক না। কারণ পুরো রায় পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, উনার প্রতি বছরের ট্যাক্স ফাইলে আয় দেখানো আছে, তা কোনো আলোচনায় আসেনি। অতএব এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আপিল দায়ের করব।”
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, “১০ বছর কারাদণ্ড বহাল থাকায় গত ৩ মার্চ থেকে ধরে নিতে হবে হাজী সেলিম আইনগতভাবে আর সংসদ সদস্য নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রক্রিয়া হচ্ছে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যেতে হবে। জেল থেকে ওকালতনামা দিয়ে এ রায়ের জাবেদা-নকল নিয়ে উনি রেগুলার লিভ টু আপিল করতে পারবেন এবং জামিন চাইতে পারবেন।”
এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্ট রায় প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া এক মাসের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।