স্থগিতাদেশ থাকার পরও অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬ পৃষ্ঠার এ আদেশ এ মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ।
লিখিত আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের কোনো আদালতেই তিনি ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।
২২ নভেম্বর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে বিচারক কামরুন্নাহার ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নিতে পুলিশকে ‘পরামর্শ’ দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি তাকে বিচারকাজ থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করেন।