• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘অবৈধস্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৬:২৫ পিএম
‘অবৈধস্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে’

জনগণের খাল, জনগণের সম্পত্তি যারা অবৈধভাবে দখল করে বহুতল অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে হুঁশিয়ারি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড এলাকায় ডিএনসিসি আওতাধীন ২৯টি খাল এবং গাবতলী রিটেনশন পন্ড সীমানা নির্ধারণ এবং পিলার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “স্বেচ্ছায় খালের জায়গা ছেড়ে দিয়ে চলে যান, আর নয়তো অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।”

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন,  “ঢাকাবাসীর জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে খালের প্রবাহ ঠিক করতে হবে। তাই সীমানা নির্ধারণের পরপরই এর ভিতরে থাকা স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে এবং খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।”

এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সকল খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, “কিছুদিন আগে যেখানে রামচন্দ্রপুর খাল তথা রামচন্দ্রপুর পার্ক যেখানে স্বপ্ন ছিলো তা এখন দৃশ্যমান এবং সবার সহায়তায় কিছুদিনের মধ্যেই এটা বাস্তবায়ন করা হবে।”

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে খালের সীমানা নির্ধারণের মতো একটি দুরুহ কাজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছে, এই কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পরে সীমানা অনুযায়ী খালের প্রবাহ ঠিক করা হবে। খালের প্রবাহ ঠিক করার পরই খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে ও গাছরোপণ করে সবুজ নেটওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”

পাশাপাশি জনসাধারণকে এই কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান এবং ‘কোনো কাজই টেকসই হবে না যদি সাধারণ মানুষ এগিয়ে না আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র একটি সীমানা পিলারে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভরাট করে এই কাজের উদ্বোধন সূচনা করেন।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসির ২৯টি খাল ও গাবতলী রিটেনশন পন্ডের সীমানা নির্ধারণ এবং পিলার নির্মান করা হবে। এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড।

Link copied!