বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, এবং তা হবে ২০২৪ সালে। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটির গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার প্রকশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, সাম্প্রতিক ব্যালান্স অব পেমেন্ট সংকটের কারণে বাংলাদেশের অনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা কালোবাজারের সুবিধা নিতে এবং অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে উৎসাহিত করছে।
এদিকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ১২.৪৬ লাখ কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১১.৩৫ লাখ।
কর্মী রপ্তানি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হলেও বিগত দুই পঞ্জিকাবর্ষে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশেই আটকে ছিল।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি আরও পূর্ভাবাস দিয়েছে যে, আগামী বছর উপসাগরীয় দেশগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। এই দেশগুলিই বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কোঅপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলির প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকতে পারে। আবার তেলের দাম কম হওয়ায় ২০২৪ সালে ওই দেশগুলোতে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে।