জীর্ণ বৃদ্ধার মতন জরাগ্রস্ত এক সন্ধ্যা হাতে
ডিসেম্বর আসে;
আসামির ধরনে কারারুদ্ধ রাখতে চায় মানুষকে;
শীতার্ত রাতের অন্ধ জরায়ু পেরিয়ে
যে প্রভাত রচিত হয়, বড় কুহকী রূপ তার
যতটা দেখায়, তার চেয়ে বেশি ভোলায় সে পথ!
দিবসেরা দুর্বলতর; স্বল্পায়ু প্রণয়ের মতো...
এমনই জানত সকলে।
অথচ একদা ভিন্ন এক ডিসেম্বরের সামনে দাঁড়াল
বাংলার মানুষ;
প্রথমবারের মতো দেখল সবাই :
সন্ধ্যারা সাহসী ঘোড়া; ফিরছে না রাতের কুলায়
শত্রু নয়; শত্রুঘ্ন রূপেই ধরা দিল গভীর নিশীথগুলো,
কুহকীপ্রভাত যেন আলোর ঝিলিক!
অতঃপর অঘ্রানের সেই বিকেলটা এলো...
বহু বিকেলই এসেছে এই বাংলায়
হেমন্তের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে অজস্র সন্ধ্যা
ফিরে গেছে ঘরে;
তবুও রক্তের অমৃতে মোড়ানো এমন বিকেল,
কান্নার জান্নাতে সিক্ত এ রকম সন্ধ্যা—
আসেনি কখনো; হয়তো আসবেও না কোনোকালে!
লাখো সূর্যোদয়ের চাইতে উজ্জ্বল সেই সন্ধ্যায়
হে ডিসেম্বর, প্রিয় সখা, কীভাবে যে তাকালে তুমি!
অসীম সবুজে ছেয়ে গেল,
এই বাঙালির মরুভূমি!