• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মরণোত্তর দেহদান করলেন তসলিমা নাসরিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০২:১১ পিএম
মরণোত্তর দেহদান করলেন তসলিমা নাসরিন

নিজের মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নিজের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই কথা জানান তিনি। তার পোস্টের কমেন্টে প্রচুর মানুষ আলোচনা-সমালোচনা করছেন।

পোস্টে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।”

পোস্টের কমেন্টে আলমগীর শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, “চিরকাল বিজ্ঞান ও যুক্তির জন্য লড়াই করা একজন লেখিকার কাছে তাই প্রত্যাশিত।”

সুদীপা চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, “খুব ভালো করেছেন। অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানাই। সঙ্গে একটু কষ্টও রইল। কতখানি হতাশা থেকে, এই উচ্চারণ ও কাজ— দেশের মাটিতে ফেরা যে হবে না, আপনজনেরা শেষ কাজ করবে না, জীবন থাকতে, এ কথা মেনে নিয়েছেন, বড্ড যন্ত্রণাদায়ক সত্য! অনেক অনেক ভালোবাসা।”

এর আগে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ফেসবুকে অপর এক পোস্টে তসলিমা নাসরিন লেখেন, “গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল চলছে।”

ধারণা করা যায়, শনিবারের স্ট্যাটাসের সঙ্গে মিলিয়েই এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। তবে নিজের মৃত্যু নিয়ে কেন তিনি এভাবে একের পর এক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বেশ কৌতূহল কাজ করছে।

দেশ ও সমাজের নানা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব তসলিমা নাসরিন। আলোচিত-সমালোচিত-বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে বরাবরই খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে এক টুইট বার্তায় মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন তসলিমা নাসরিন। মৃত্যুর পরে মানুষের চিকিৎসার কল্যাণে নিজের দেহকে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি জানান, মৃত্যুর পর তার দেহ যেন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে গিয়ে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করেন তিনি। সেসময় তসলিমা নাসরিন টুইট বার্তায় বলেন, “গবেষণা ও শিক্ষার জন্য আমি মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক পেজে ওই অঙ্গীকারের একটি প্রমাণপত্রও পোস্ট করেন তিনি।

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!