• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
১৯৭১

সৈয়দপুরের গণহত্যা


সালেক খোকন
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
সৈয়দপুরের গণহত্যা

বাবা ছিলেন অ্যাকাউন্টস অফিসার, রেলওয়েতে। সে সুবাদেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুরাদ হোসেন থাকতেন  সৈয়দপুর শহরে, আতিয়ার কলোনির এল-৭৬-বি নম্বর কোয়ার্টারে। পুরো সৈয়দপুরে তখন সত্তর পারসেন্ট বিহারি, দশ পারসেন্ট পেশোয়ারি আর বিশ পারসেন্ট বাঙালি ছিল। সেখানে বাঙালিদের প্রতি বিহারিদের নির্মমতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে একাত্তরে।

মুরাদের ভাষায়, ‘বিহারিদের নেতা ছিল মতিন হাশমি, সৈয়দপুর কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। প্রকাশ্যে তিনি ঘোষণা দেন, ‘২৩ মার্চ যুদ্ধ হবে। বোঝাপড়া হবে এদেশে আমরা থাকব নাকি তোমরা (বাঙালিরা)।’ কিন্তু ওদের হুমকিতে আমরা আতঙ্কগ্রস্থ ছিলাম না। ভেতরে ভেতরে আমরাও প্রস্তুতি নিতে থাকি। ২২ মার্চ রাতেই গোলারহাটে যুদ্ধ শুরু হয়। বিহারিদের মধ্যে যারা ছুরি এনেছে তারা একদিকে, তলোয়ার, বল্লম, বন্দুক আর লাঠিওয়ালারাও একেক দিকে ভাগ হয়ে অবস্থান নেয়। এদিকে আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বাঙালিরাও লাঠিসোটা নিয়ে চলে আসে। রাত থেকেই মারামারি শুরু হয়। গোলারহাটেই প্রথম আগুন জ্বলে। ওরা এগিয়ে আসলে গ্রামের দিক থেকে আসা বাঙালিদের সঙ্গে ফাইট হয়। রক্তাক্ত প্রান্তরে মারাঠাদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ হয়েছিল। ওখানে কারা থাকবে—মুসলমানরা নাকি মারাঠারা। সৈয়দপুরে আমাদের যুদ্ধটাও ওরকমই ছিল।

একাত্তরে গোলারহাটের এখানেই ঘটেছিল হত্যাযজ্ঞ । ছবি: সালেক খোকন 

 

২৩ মার্চ সারাদিন যুদ্ধ চলে। কথা ছিল ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনারা কেউ বের হবে না। কিন্তু ২৪ মার্চ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সেনারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিভিল ড্রেসে বেরিয়ে আসে। মাথায় গামছা বেঁধে তারা মেশিনগান দিয়ে ফায়ার শুরু করে। ফলে পাখির মতো বাঙালি মরে। হাজার হাজার লাশ দেখে তৎকালীন এসডিও মুয়ীদ চৌধুরীও থানায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা তখন গ্রামের দিকে লুকিয়ে থাকি।

কলোনির কোয়ার্টারে তখন তার মা সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে থাকত দূরসম্পর্কের এক বোন, নাম জোবাইদা। কিন্তু মুরাদ কলোনিতে আর ফিরতে পারে না। তার মাথার দামও ঘোষিত হয় প্রকাশ্যে। জীবিত বা মৃত তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০০টাকা দেবে বিহারিরা। এতেই তারা ক্ষান্ত হয় না। বাড়িতে আক্রমণ করে মুরাদের মমতাময়ী মাকে দ্বিখণ্ডিত করে হত্যা করে। ওই ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে বারবারই থেমে যান মুরাদ হোসেন। বুকে জমে থাকা কষ্টের পাহাড়ে তখন বৃষ্টি ঝরে। চোখের জলে বুক ভাসিয়ে তিনি বলেন করুন ইতিহাসটি—

‘সৈয়দপুর শহরের সব বাঙালিকে ওরা আটকে রেখেছিল। আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল তাদের ফ্যামেলিকেও বাঁচতে দেয়নি। ১৪ এপ্রিল রাতে আম্মাকে ওরা নির্মমভাবে হত্যা করে। কলোনিতে ওটাই ওদের প্রথম অ্যাটাক। মেইন রোডের পাশেই ছিল আমাদের কোয়ার্টার, ছাদ দেওয়া একতলা বাড়ি। মার্চের শুরুতেই ছাদের ওপর বিশাল সাইজের একটা বাংলাদেশের পতাকা ও একটা কালো পতাকা লম্বা বাঁশ দিয়ে টাঙিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা দেখা যেত অনেক দূর থেকে। রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করত পাকিস্তানি আর্মি। বাংলাদেশের পতাকা দেখে তারা ক্ষিপ্ত হয়।

বিহারিরা প্রথম এসে আম্মাকে বলে, ‘উসকো উতার দো’। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে টাঙিয়েছে। এটা আমি নামাতে পারব না।’ ওরা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি আর্মিদের ভয় দেখিয়ে আবারও পতাকা নামাতে বলে। এবারও আম্মা অস্বীকৃতি জানায়। তাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করে ওরা। কিন্তু আম্মার বাধার কারণে পারে না। ফলে হুমকি ও গালাগালি করে চলে যায়।

এর কিছুক্ষণ পরেই পাকিস্তানি আর্মিসহ বিহারিদের একটি সশস্ত্র দল এসে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। মা তখন রেহালে রেখে কোরআন শরিফ পড়ছিলেন। পেছনের দরজা দিয়ে তিনি ওই বোনটাকে পাঠান পাশের বাড়িতে, আব্বার বন্ধুকে ডেকে আনতে। কিন্তু পথের মধ্যেই বিহারিরা বোনটাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সামনের দরজা ভেঙে তারা ঘরের ভেতরে যখন ঢোকে, আম্মা তখন কোরআন শরিফ বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকেন। ওদের কাছে প্রাণভিক্ষাও চান। কিন্তু পিশাচদের মন গলে না। কোরআন শরিফ ধরা অবস্থাতেই আম্মাকে ওরা কোপ দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলে। রক্তে ভেসে যায় পুরো ঘর। আল্লাহর কালাম কোরআন শরিফও মাটিকে পড়ে রক্তে ভিজে যায়। মুসলমান হয়েও বিহারিরা এমন বর্বরতা চালিয়েছিল। পরে আম্মার লাশ পাকিস্তানি আর্মিরা ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। তার লাশটাও ফেরত পাইনি।

আশাপাশের পরিচিতজনরা আম্মার করুণ ও নির্মম মৃত্যু প্রত্যক্ষ করে। তাদের মুখেই শুনেছি সবকিছু। বিহারিরা চলে গেলে পাশের বাসার একজন ঘর থেকে আম্মার রক্তমাখা কোরআন শরিফটি তুলে নেন। পরে সেটি আমরা সংগ্রহ করি। রক্তমাখা ওই কোরআন শরিফটাই আমাদের মায়ের শেষ স্মৃতি। যার পাতায় পাতায় রয়েছে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। স্বপ্নে আম্মার চিৎকার শুনে জেগে উঠি প্রায়ই। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে কিন্তু আমরা তো মাকে ফিরে পাইনি, তার লাশও পাইনি। ফলে তার কবরও নেই। পুরো দেশের মাটিতেই মিশে আছে আমার মায়ের রক্ত। কিন্তু এ দেশ কি মনে রাখবে আমার শহীদ মাকে?   

সন্নিবেশিত ছবিটি একাত্তরে শহীদ সুফিয়া খাতুনের (মুরাদের মা)। ছবি: সালেক খোকন

সৈয়দপুরের গণহত্যা নিয়ে সেখানকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে বসে কথা হয় বিনত বাবুর সঙ্গে। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। পরিবারের সঙ্গে থাকেন সৈয়দপুর শহরে, দিনাজপুর রোডের বাড়িতে। ২৫ মার্চ থেকে খানসেনারা শহর থেকে স্বাধীনতাকামীদের ধরে নিয়ে আসত সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে। সে সময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকদের চিনিয়ে দেওয়ার কাজটি করত বিহারিদেরই একটি অংশ। ৭ জুন ১৯৭১। বিনত বাবুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় খান সেনারা। এক দিন পরই তার বাবা বালচানদ আগরওয়ালাকেও নিয়ে আসা হয় সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন।

সৈয়দপুরে তখন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজটি করছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ধরে আনা মুক্তিকামী রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও নিরীহ মানুষদের দিয়ে করানো হতো মাটি কাটার ভারী কাজগুলো। কাজের মধ্যে বিনা কারণেই করা হতো বেত্রাঘাত।

১৩ জুন রাত দেড়টা। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিনত বাবুসহ অন্যদের নিয়ে যাওয়া হয় রেলস্টেশনে। সেখানে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এরই মধ্যে জড়ো করা হয় বেশ কিছু পরিবারকে। একটি ট্রেনের দুটি বগিতে তোলা হয় পুরুষদের। দুটিতে রাখা হয় মহিলা ও শিশুদের। ট্রেনের অধিকাংশই ছিল বাঙালি হিন্দধর্মালম্বী ও মাড়োয়ারি। স্টেশনে বিনত বাবু দেখা পান তাঁর মা তরদেনি দেবী ও ছোটবোন সাবিত্রীর।

পুরুষরা যেন পালাতে না পারে সে কারণে বগিতে সবাইকেই বিবসন করে রাখা হয়। সকাল সাতটার দিকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে অজানা গন্তব্যে। বন্ধ করে দেয়া হয় ট্রেনের দরজা-জানালাগুলো। বগির ভেতর সবাই ভয়ে জড়সড়। কিলো তিনেক চলার পর ট্রেনটি গোলারহাটে এসে থেমে যায়। এর পরই শুরু হয় সেই নারকীয় হত্যার উৎসব।

বিহারি পুলিশ ও খানদের (পাকিস্তানি সেনা) সঙ্গে যুক্ত হয় মুখে কাপড় বাঁধা একদল বিহারি। বগি থেকে তারা একে একে নামিয়ে তলোয়ারের আঘাতে কচুকাটা করে একেকজনকে। গ্রেনেটের খোঁচায় ছিন্নভিন্ন হয় কোলের শিশুদের দেহ। কখনো যুবক, কখনো বৃদ্ধ, কখনো বা শিশুর চিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে গোলারহাটের বাতাস।  

নারকীয় এ হত্যার দৃশ্য দেখে বগির ভেতর ছটফট করেন বিনত বাবু। কয়েকজনের সঙ্গে তিনিও অন্য পাশের জানালা দিয়ে দৌড়ে পালান। পেছন থেকে চলে খানদের গুলিবৃষ্টি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আছড়ে পড়েন কয়েকজন। কিন্ত দৈবক্রমে বেঁচে যান বিনত বাবু, রামলাল দাস, তপনকুমার দাসসহ আরও প্রায় বিশ জন। নিজে বেঁচে গেলেও সেই দিনের গণহত্যায় শহীদ হন বিনত বাবুর মা, বাবা আর বোন।

কথা হয় শহীদ রামেশ্বর আগরওয়ালার ছেলে নিজুর সঙ্গেও। গোলারহাটের গণহত্যায় শহীদ হন তাঁদের পরিবারের নয়জন। স্মৃতি হাতড়ে নিজু জানান সে সময়কার কিছু কথা।

৭ এপ্রিল ১৯৭১। নিজুর বয়স তখন ১০। সকালের দিকে খানসেনারা হানা দেয় তাঁদের বাড়িতে। ধরে নিয়ে যায় তাঁর বাবা ও দুই ভাই পুরুষোত্তম ও বিমন কুমারকে। ‘তোম লোককো মেজর সাব বোলাতায়ে’। এক হাবিলদারের কন্ঠ আজও নিজুর কানে বাজে। পরে তাঁদের খোঁজ মেলে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে।

শহীদ রামেশ্বর আগরওয়ালার ছেলে নিজু আগরওয়ালা। ছবি: সালেক খোকন

 

বাবা ও ভাইদের জন্য প্রতিদিন বাড়ি থেকে নাস্তা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছে দিতেন নিজু। গণহত্যার দিন নাশতা হাতে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর বাবা ও ভাইদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভারতে। খবর পেয়ে নিজু ছুটে যান স্টেশনে। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। স্টেশন থেকে গোলারহাটের দিকে ট্রেনটিকে থামতে দেখে নিজুও ছুটে যান ওদিকে। ২০০ গজ দূর দাঁড়িয়ে দেখতে পান নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞটি।

বিহারিদের বর্বরতা প্রসঙ্গে কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেনও, ‘আমাদের কোয়ার্টারে আরেক পরিবারে দুজন মেয়ে ছিল। তারা ছাত্রলীগ করতো। নাম ভ্রমর ও কলি। আম্মাকে হত্যার ওই রাতেই ভ্রমরকে বিহারিরা শারিরিক নির্যাতন চালায়। আর কলিকে তুলে দেয় পাকিস্তানি আর্মিদের হাতে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওরা এভাবেই নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

সৈয়দপুরে একটা মাড়োওয়ারি কলোনি আছে। মাড়োয়ারি পট্টি বলে সবাই। তারা বড় ব্যবসায়ী এবং ইন্ডিয়া থেকে আসা লোক। একাত্তরে বিরাহরিরা প্রথম তাদের সম্পদ লুটে নেয়। এরপর সবাইকে বলে যারা মুসলমান হবা তারা এখানে থাকো। আর যারা ইন্ডিয়া চলে যেতে চাও তারা স্টেশনে এসে ট্রেনে উঠো, আমরা ট্রেন রেডি রাখছি। ১৩ জুন মাড়োয়ারিরা সবাই ট্রেনে ওঠে। তখন বগিগুলো লাগিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনটি গোলারহাটে আসতেই শুরু হয় নারকীয় হত্যার উৎসব। আমার বন্ধু সুশীল কুমার আগরওয়ালা। ওদের পাটের ব্যবসা ছিল। সে বেঁচে যায় লাকিলি। বেঁচে গিয়েছিল ক্লাসমেট নন্দলালও।

সৈয়দপুর স্টেশন থেকে গোলারহাট কবরস্থান পেরোতেই দেখা যায় ৩৩৭ কি.মি. চিহিৃত ছোট্ট একটি রেলব্রিজ। ব্রিজের পশ্চিম পাশে পানিশূন্য একটি বড় ডোবা। আশাপাশের বিহারিদের জ্বালানির প্রয়োজনে গোবর শুকানোর উপযুক্ত স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো জায়গাটি। এখানেই দেশের জন্য আত্মহুতি দিয়েছিল চার শতাধিক নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ। যাঁদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। কয়েকবছর আগে শহীদ স্মরণে সেখানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিসৌধ। কিন্তু গণহত্যায় শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আজও তৈরি করা হয়নি। নানা কষ্ট ও বঞ্চনাকে বুকে আকড়ে বেঁচে আছে শহীদ পরিবারগুলো।

সৈয়দপুরের গণহত্যা ও শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস এ প্রজন্ম তেমন জানে না। সে ইতিহাস তুলে ধরতে না পারার দায় সকলের ওপরই বর্তায়। আবার একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে যুক্ত সৈয়দপুরের বিহারিদের বিচার এখনও হয়নি। বরং পাকিস্তানি এদেশীয় দোসররা সেখানে আজও প্রবলভাবে সক্রিয় বলে মনে করেন শহীদপরিবারের সদস্যরা। একাত্তরে সৈয়দপুরে গণহত্যায় পাকিস্তানি সেনাদের কারা দায়িত্বে ছিল, তা বের করে আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধেও বিচারের দাবী তোলার সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করি আমরা। যা হয়নি অদ্যাবধিও। গণহত্যার বিচার না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। আমরাও পাবো না কোনো দায়মুক্তি।

 

ছবি: সালেক খোকন

লেখক: মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!