রম্যরচনায় ‘উপমা সাহিত্য পুরস্কার’ পেয়েছেন তরুণ লেখক শফিক হাসান। বৃহস্পতিবার (২৫ মে, ২০২৩) রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টনের একটি হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন— শিশুসাহিত্যে নাসরীন মুস্তাফা, নাট্যকলায় আলমগীর মোহাম্মদ রনজু, কথাসাহিত্যের মো. জাকির হোসেন ও রম্যরচনায় শফিক হাসান। একই দিনে প্রদান করা হয় ২০২২ সালের পুরস্কারও।
পুরস্কৃতদের হাতে ক্রেস্ট, মানপত্র ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কবি ড. জাহাঙ্গীর হাবীবউল্লাহ, প্রধান অতিথি কানাডা প্রবাসী লেখক রূমানা চৌধুরী, ‘উপমা’ সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার।
পুরস্কার প্রদানের প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করে লেখক ও সম্পাদক সৈয়দা নাজমুন নাহার বলেন, “নবীন লেখকদের জন্য পুরস্কার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। পুরস্কৃত হলে তারা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। আরও ভালো লিখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা তরুণ সাহিত্যিকদের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে চাই।”
সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘অর্বাচীন’ সম্পাদক কবি ও শিক্ষক আকমল হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানের বড় আকর্ষণ ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে আগত কবিদের কবিতা আবৃত্তি ও মুক্ত আলোচনা।
প্রায় দুই যুগ ধরে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সক্রিয় রয়েছেন শফিক হাসান। ইতোপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে সাতটি মৌলিক রম্যগল্পগ্রন্থ। বইগুলো হচ্ছে— সবার উপরে ছাগল সত্য, নোমান মামার সমাজসেবা, পাতালের তারকা, ঘরজামাই পর-জামাই, লোকাল ক্যাচাল, এক থাপ্পড়ে দুই মশা, অটোগ্রাফের ফাঁদে। সম্পাদিত রম্যগল্পগ্রন্থ একটি কাশির চেয়ে হাসি ভালো।
এর আগে, ২০২১ সালে কাহারোল, দিনাজপুর থেকে ‘স্মৃতি সংঘ ও সাহিত্য সংসদ’ রম্য সাহিত্যে সংবর্ধনা দেয় তাকে। শফিক হাসান স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের রম্য আয়োজন, ওয়েব পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন ও নানা ধরনের সাহিত্যপত্রিকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখে আসছেন। ছোটগল্প, ভ্রমণ, সাক্ষাৎকার, জীবন ও কর্ম, শিশুতোষ, গবেষণা, রম্যগল্পসহ সব মিলিয়ে প্রকাশিত বই ২১টি। ২ জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালীতে শফিক হাসানের জন্ম। তবে শৈশব-কৈশোর কাটিয়েছেন পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত চট্টগ্রামে।