অ-পর
পিপাসার্ত এই আতপ দুপুর
আর লীনতর যৌথ অভিপ্সায়
জানলা বাছতে গিয়ে ঘেমে-নেয়ে উঠি
মেঘেদের সুরে ভাসে, বিমর্ষ সংগীত
অতটা অস্পষ্টতা—
চলে তবু গেল আয়ু, গোটা এক আমিষ-জনম
রাস্তা জুড়ে ইতস্তত
ছড়ানো তার মানচিত্র, বিদীর্ণ ফসল
দৃশ্যবতী নদী
তুমি ভাব অসময়। ফিরবার পথ বুঝি নেই।
মাঝরাতে ওই দূরে দেখ—
মরুরেখা ধরে কোন ব্যথাতুর নদী বয়ে যায়
অসময়ে আলো হয় অতিকায় চন্দ্রমল্লিকা
গ্রীষ্মবাগানে পাশা খেলে সূর্যকান্ত মণি
ভাবো যদি ফিরে যাবে নগর সন্ত্রাস সব মুছে
ঢেকে নাও অস্থিমাংস যদি আজ গভীর পালকে
কী করে শুশ্রূষা দেব তোমাকে আবার
নিয়ে যাব পুণ্যস্নানে, দৃশ্যবর্তী নদীর ওপার?