• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বুলবুল চৌধুরী কিংবা জোনাকির সন্নিকট কেন্দ্র


পিয়াস মজিদ
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১, ০১:৪৭ পিএম
বুলবুল চৌধুরী কিংবা জোনাকির সন্নিকট কেন্দ্র

বুলবুল চৌধুরীও চলে গেলেন। নেই তিনি, কিন্তু আছে বুলবুল ভাইয়ের প্রথম পর্বের সেই গল্পের শিরোনামের মতোই ‘জোনাকি ও সন্নিকট কেন্দ্র’। লেখকদের সৃষ্টি ও স্মৃতিই তো আমাদের সবার জন্য জোনাকির সন্নিকট কেন্দ্র। এমন সুন্দর শিরোনাম; বুলবুল ভাই-ই তো দিতে পারেন। এর মাঝে কবিতার রক্ত আছে, থাকবেই তো। গোলাপের নিচে নিহত কবিকিশোর আবুল হাসানের বন্ধুতার বংশধর যে বুলবুল ভাই। সেই কবে সম্ভবত ‘যুগান্তর’-এ একটা স্মৃতিগদ্য পড়েছিলাম তাঁর ‘সাধু হে যাবে না তিবেত’। আবুল হাসানকে মূল ভূভাগে রেখে লেখা ওই ছবির মতো গদ্যের উদ্দিষ্ট কথা ছিল এমন—‘আবুল হাসান মরেছে, মরে বেঁচেছে।’

বুলবুল চৌধুরীর সঙ্গে প্রথম দেখা তাঁর বন্ধু কথাশিল্পী হরিপদ দত্তের সূত্রে। হরিপদ দত্ত আজ ভারতবাসী, ফোনে জিজ্ঞেস করেন মাঝে মাঝে ‘বুলবুলের লগে দেখা হয় তোমার, হালা আছে কেমন?’ এমন দোস্তির  ভাষা বুলবুল চৌধুরীর জন্য বরাদ্দ রাখেন ঢাকা শহরে আরও কেউ কেউ। ধ্রুব এষ তাঁদের একজন। (‘আমার একজন মানুষ’ নামে এবার বইমেলায় জিনিয়াস পাবলিকেশন্স থেকে ধ্রুবদার একটা উপন্যাস বেরিয়েছে। পড়ে দেখি এর কেন্দ্রীয় চরিত্র বুলবুল চৌধুরী ও তাঁর সময়। দারুণ উপন্যাস। সবাইকে পড়তে বলি) তো, ধ্রুবদার পুরোনো বাসার মায়াবী ছাদমহলে পুলক হাসানের ‘খেয়া’ পত্রিকার জন্য এক যুগ আগে একটা সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম। কাগজে টুকে নেয়া প্রশ্ন মুহূর্তেই তাঁর কথার সিম্ফনিতে ভেসে গেল।

‘টুকা কাহিনী’-র মতো নামজাদা গল্পের তলায় তিনি চাপা পড়েছেন। ‘মাছ’ নামে আরও একটা দুর্ধর্ষ গল্প পড়েছিলাম তাঁর। ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’, ‘মরম বাখানি’, ‘চৈতার বউগো’, ‘ভাওয়াল রাজার উপন্যাস’ আরও কত কত স্মরণীয় উপন্যাস, গল্প, শিশুসাহিত্য! বুলবুল চৌধুরীর গদ্যদেশ যেন রূপ-অরূপকথার হীরাহরিণ জগৎ। প্রকৃতি ও পল্লী তাঁর আখ্যানে জলমাটির কাঁচাসোনা ঘ্রাণ লয়ে হাজির থাকে সবসময়। ‘জীবনের আঁকিবুঁকি’ নামে একটা ননফিকশন বইয়ে কাটাকুটি করেছেন নিজের ফেলে আসা সময়ের। ‘আপননামা’ শিরোনামে আত্মজীবনী তিনি লিখব লিখব করে ফেলে রেখেছেন তবে আমার মনে হয় এটা লেখার দরকারও নেই খুব একটা। তাঁর সমুদয় লেখাপত্রই তো তাঁর আপননামা। আমি ভাগ্য মানি, ‘ইতু বৌদির ঘর’ নামে একটা উপন্যাস তিনি আমাকে উৎসর্গ করেছেন। একবার বইমেলায় আমার হাতে বইটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন ‘লও মিয়া, তোমারে দিলাম’। হ্যাঁ, আমিও ‘লইলাম এবং ধন্য হইলাম’ বুলবুল ভাই।

ব্যক্তি বুলবুল চৌধুরী একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক। কখনো এমন পরিশীলিত বাচনে বলেন ‘এবার লিখব পিয়াস, খুব লিখব। বন্ধু কায়েস আহমেদকে নিয়ে বই লেখার কথা বলেছ তুমি। সেটাও ধরব।’ আবার পরক্ষণেই হয়তো বলবেন ‘কই থাকো মিয়া। আইয়ো একদিন; ডাইল-ভাইত খাইবা’।

বহু আগে একদুপুরে পুলক ভাই আর আমি বিনা নোটিশে গিয়েছিলাম বুলবুল ভাইয়ের আস্তানায়। আমরা তো সব সময় অভাব-অভিযোগী মানস নিয়ে বসে থাকি কাঙ্ক্ষিত শ্রোতার জন্য। কিন্তু বুলবুল চৌধুরী সেই সদানন্দ মানুষ, যিনি কোনো পরিস্থিতিতেই নিজেকে ‘মিসফিট’ মনে করেন না। অসময়ে আমাদের দেখে নিজের দুপুরের খাবার ভাগ করে দিলেন। সঙ্গে দিলেন বাড়ির গাছের লেবু। খেতে খেতে লেবু নিয়ে এমন গল্প জুড়ে দিলেন যে অল্পাহারের অতুষ্টি আমাদের তিনজনের নাকে গন্ধরাজ লেবুর বাহারে কোথায় যে দূর হয়ে গেল, তা টেরই পেলাম না!

বুলবুল ভাইয়ের পুরান ঢাকার বাসার কাছেই এক্রামপুর স্কুল। সেই স্কুল, যেখানে ঢাকাই ছোটবেলায় পাঠ নিয়েছেন সমরেশ বসু। বুলবুল-নিবাস থেকে বেরিয়ে এক্রামপুর স্কুল পেরিয়ে আমার অন্ধকার গায়ে এসে লাগে ‘আদাব’, ‘বিটি রোডের ধারে’, ‘দেখি নাই ফিরে’-র স্রষ্টার শৈশবের স্মৃতিধূলি-মাখা আলোর ঝলকানি। আর সেই জোনাকির সন্নিকট কেন্দ্রেই তো দেখি দাঁড়িয়ে আমাদের বুলবুল চৌধুরী।

এক আড্ডায় শিল্পী ধ্রুব এষ, কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী ও পিয়াস মজিদ।

কি বিষয়বৈচিত্র্যে, কি ভাষার অমিয়-প্রকাশে, কি নিজস্বতা-খচিত বোধিতে বুলবুল চৌধুরীর কথাশিল্প দশের বাইরে এগারো। কারণ মরচে পড়া মহোৎসবের বাইরে তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের এক বিরল হীরকখণ্ড। ‘টুকা কাহিনী’ তাঁর খ্যাততম গল্প কিন্তু দুঃখের কথা—এই গল্পের আড়ালে যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে তাঁর বিচিত্র, বিপুল, বৈশিষ্ট্যময় সাহিত্যসম্ভার। এই সেদিন পড়ছিলাম বুলবুল চৌধুরীর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, আমাদের প্রিয় কথাসাহিত্যিক প্রয়াত শওকত আলীর আত্মজীবনী ‘অবিস্মৃত স্মৃতি’। তার এক জায়গায় আবিষ্কার করা গেল ছাত্রের কৃতী-কথাকার সত্তা নিয়ে তাঁর মন্তব্য:

‘আমার কৃতী ছাত্র বুলবুল চৌধুরী। সে ষাটের দশকের শেষের দিক থেকে নিয়মিত গল্প লিখছে। তার গল্প ও উপন্যাসের সংখ্যা কম নয়। গ্রাম্য জীবন-জীবিকা, শ্রমজীবী মানুষের প্রতিচ্ছবি, প্রকৃতির দৃশ্যপট ও পরিবেশ-প্রতিবেশই হলো তার লেখার মূল বিষয়। তার চরিত্র নির্ধারণ, ভাষা সুন্দর ও প্রাঞ্জল। সব মিলিয়ে উৎকর্ষ আছে তার সাহিত্যকর্মে, এটা স্বীকার করতেই হবে।’

দেখা যাচ্ছে ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’-এর স্রষ্টাও বুলবুল চৌধুরীর সাহিত্যভুবনের স্বাতন্ত্র্য ও শক্তি সম্পর্কে সচেতন।

বুলবুল চৌধুরী গল্পের কথা উঠলেই আসে ‘টুকা কাহিনী’ কিংবা ‘মাছ’-এর প্রসঙ্গ। আসে সংগতই কারণ নিসর্গমণ্ডিত রক্তক্ষরণকে এতটা সার্থক-সুন্দরভাবে রূপায়ণের ক্ষমতা অবিরল তো নয়। গল্পে তিনি মাছের গতর থেকে অনায়াসে চলে যান মানুষের মুখে। মীনসম্প্রদায়ের আঁশটে গন্ধ আর মনুষ্যকুলের নোনা কান্নায় তখন ভরে ওঠে চরাচর। বিষয়টি চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন কবি-সমালোচক আবদুল মান্নান সৈয়দ:

“বুলবুল চৌধুরীর ছোটগল্পে গ্রাম তার সেই আশ্চর্য বিস্ময় চিরন্তনত্ব আর সদ্য নতুনত্ব নিয়ে জেগে উঠেছে আবার। মানুষ-মানুষীর প্রেম, বিচ্ছেদ, অন্নকষ্ট, খুন, ভালোবাসা এবং নিসর্গের বৃষ্টি, খেতখামার, বাঁশঝাড়, নদী বুলবুল চৌধুরীর ছোটগল্পে এমন সপ্রাণ সজীবতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে যার কোনো তুলনা মেলে না। তার তাবৎ মানুষ বুলবুল চৌধুরী আঁকেন প্রাণস্পর্শী দরদ দিয়ে। তার মধ্যে ওতপ্রোত মিশেছে শিল্পকুশলতার সঙ্গে মানবিকতা। গহন দরদ আর অ-চীৎকৃত প্রতিবাদ গল্পকার বুলবুল চৌধুরীকে লেখক থেকে ‘আর্টিস্ট’-এ উন্নীত করেছে।”

‘আর্টিস্ট’ বুলবুল চৌধুরী গল্পের মতো উপন্যাসেও অনন্য। তাঁর ঘরে লক্ষ্মী থাকে, ভাওয়াল রাজার উপাখ্যানের আড়ৎ আছে তাঁর করতলে, তিয়াসের লেখনে ভরপুর তার কথন বাড়িঘর। ইতু বৌদির ঘর পেরুলে তিনি আমাদের অক্ষরের জাদুতে দেখান অপরূপ বিল-ঝিল-নদী। বুলবুল চৌধুরীর কথাসাহিত্যের আকাশে ওড়া পরিন্দাকে পাঠক নিজ বিহঙ্গ ভেবে অবলীলায় যেন বলে ওঠে ‘যাও পাখি বলো তারে’। কহ কামিনী কহ, কী তোমার কথা। আমি তো মনে করি, বুলবুল চৌধুরীর আখ্যান-দুনিয়া মানে বাংলাদেশের গ্রামগহন, বিস্তৃত জনপদের আকুল করা ঘ্রাণ। ফুলটুসি- ফাইজুদ্দিন, রাহিদা-আকুল চৌধুরী, মালা আর সুন্দরী গায়েনের মতো চরিত্রবিভায় তিনি আমাদের অনিবার্য পাঠকে পরিণত করেন তাঁর উপন্যাসগুচ্ছের। প্রকল্পবাদী উপন্যাস-মহড়ার কালে তিনি বলেন মানুষের ভিতরবাড়ির সহজ-মানুষের কথা, গভীর গানে সুর তোলে তাঁর কথারা, কথার বুননেরা।

বুলবুল চৌধুরীকে নিয়ে কবি আবিদ আজাদের কথার তুলি আঁকে এমন অনন্য বাক্যছবি:

‘বাংলাদেশে কথাশিল্পের কারিগরের অভাব নেই। আজ অনেকেই অজস্র লিখছেন। কিন্তু তাদের সকলেই কি কথাশিল্পী! বুলবুলের মধ্যে রয়েছে সেই কৌতূহল বা জিজ্ঞাসা, যার তাগাদায় বড় শিল্পীরা মানুষ বানায়, বানায় মানুষের গল্প এবং গল্পের সমুদ্রের ভেতর নাকানিচুবানি খাওয়া মানুষজনকে নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করে জীবনের গল্পের দিকে।’

আমার মনে হয়, এর বেশি আর কিছু বলার দরকার পড়ে না বুলবুল চৌধুরীর কথাশিল্প নিয়ে।

বুলবুল চৌধুরী লোকায়তের অন্তরমহলে তল্লাশি চালান। তাই তাঁর গল্প, উপন্যাস এমনকি শিশুকিশোর-সাহিত্যও লোকব্যঞ্জনায় ভাস্বর। মণিমালার গল্পগাথা থেকে নেজাম ডাকুর কথকতা খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর শিশুসাহিত্যের দরদি জমিনে।

নটী বিনোদিনীর আত্মকথা তিনি সম্পাদনা করেছেন কারণ বিনোদিনী দাসীর মতো বহু জীবনের তিনি নিবিষ্ট ও ঘনিষ্ঠ দর্শক। ‘মানুষের আঁকিবুকি’ থেকে ‘আপননামা’ পর্যন্ত বুলবুল চৌধুরী স্মৃতিকথা, আত্মকথা লেখার প্রয়াস চালান তবে এহ বাহ্য। আমরা বলি, বুলবুল চৌধুরীর সমস্ত লেখাই তো তাঁর নিজের কথা। প্রসাধিত শিল্পকলার সাধনা তাঁর কাছে শত্রুবৎ। একই দিনে প্রয়াত বুলবুল-সখা শেখ আবদুল হাকিম যেমন বলেন:

‘বলা হয়,বুলবুল  নাকি শুধু গোলাপকুঞ্জের দিকে তাকিয়ে থাকে; কিন্তু আমি যে বুলবুলকে চিনি, তার দৃষ্টি গোলাপকুঞ্জকে ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর প্রসারিত। তিনি আরও অনেক কিছু দেখতে পান। শুধু দেখতে পান না, সেসব জায়গায় সারাজীবন ধরে আসা-যাওয়াও করছেন।ওগুলোর মধ্যে বেশ কিছু জায়গা মাটির বুকে নরকবিশেষ।’

হ্যাঁ, বুলবুল চৌধুরীর রচনার ছত্রে ছত্রে আমরা তো নরকে ফোটা ফুলেরই সন্ধান পাব। পাঠক, আপনিও পড়ুন; আমোদিত হোন বুলবুল-ফুলের স্বর্গীয় সুবাসে।

 

বাংলা শিশুকিশোর-সাহিত্যেও বুলবুল চৌধুরী এক স্মরণীয় নাম। এখানে লোকবাংলার চালচিত্র কত মধুর, মোহন-ভাবেই না চিত্রায়িত হয়েছে! কাজলরেখা, কাঞ্চনমালা, দস্যু কেনারামের পালা, বিহঙ্গমা কয় বিহঙ্গমী শোনে, হীরা ও কঙ্কনার কাহিনি, রূপবতী, মেছো ভূত, পুইট্টা চোর আর বুইট্টা চোর, গার্ডবাড়ির পরি—এমন সব গল্পের ঘ্রাণে মুখরিত বুলবুল চৌধুরী কিশোরগল্পের ভুবন। লোকায়ত বিশ্বাস, কিংবদন্তি, পুরাণের পুনর্ব্যবহার তাঁর কিশোর-আখ্যানের জায়গাজমিকে করেছে মালতি-মঞ্জরিত। একালের কিশোর পাঠক বুলবুল চৌধুরীর অনুমপ গল্পগাথায় এই জনপদের হারানো বৃত্তান্ত খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি সমকালীন জীবনচেতনার সোনার কাঠি-রূপার কাঠি পরশ পাবে। নীতিকথার সুগন্ধি সূত্র যেমন তেমনি তাঁর কিশোর গল্পে ছড়িয়ে আছে তেমনি রসবোধ, বুদ্ধির দীপ্তিও কম নয়।

বুলবুল চৌধুরীর অভিনব কৈশোরক-সৃষ্টি এক যে ছিল নেজাম ডাকু। লোককথাকে নব-সৃজনরূপ প্রদানে বুলবুল চৌধুরী বিশেষ দক্ষ, ভাওয়াল রাজার উপাখ্যানসহ তাঁর আরও নানা লেখায় এর টিপছাপ লক্ষণীয়। এক যে ছিল নেজাম ডাকু-এর মূল আখ্যানভাগ এই বাংলার লোককাহিনী থেকে উৎসারিত হলেও এর আবেদন শাশ্বত। এখানে শেখ ফরিদ ও নেজাম ডাকু চরিত্রবিভার মধ্য দিয়ে লেখক আমাদের নিয়ে চলেন নীতিকথামূলক সাহিত্যের অন্দরমহলে। মানুষের অন্তর্শক্তির জাগরণ কী করে সাদা ও কালোর প্রভেদ সৃষ্টি করে, নেতিবাচক অবস্থানকে ইতিবাচক উপলব্ধিতে উত্তীর্ণ করে—তার সবল সাক্ষ্য ধরা রইল এক যে ছিল নেজাম ডাকু আখ্যানে। বিষয় বুলবুল চৌধুরীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ; ভাষাও গুরুত্ব-হ্রস্ব নয় মোটেও। তাই আমরা এই আখ্যান পড়তে পড়তে যেন হারিয়ে যাওয়া লোককথা ও লোকচরিত্রের সপ্রাণ উপস্থিতি অনুভব করি বিষয়ের নিবিড় সমকালীনতায়, ভাষার নিরুপম কারুকাজে।

 

বুলবুল চৌধুরী, প্রিয় বুলবুল ভাই; এভাবে চলে যেতে হয়! ঢাকা শহরের বাংলাবাজার থেকে কারওয়ান বাজার, গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ—সব জায়গায় কত কত মানুষের মুখ আপনার লেখায় স্থায়ী রূপ পেতে অপেক্ষা করে আছে। আর চির-অপেক্ষায় আছে ও থাকবে আপনার সঙ্গে বেশুমার আড্ডা দেয়ার বন্ধুরা, তরুণেরা। বুলবুল ভাই, আবার কবে ঘড়ি-চুরমার আড্ডায় দুপুরকে রাত করব বলুন!

Link copied!