এই নিস্তব্ধতার ভেতরে লুকিয়ে আছে যত কথা, একদিন তোমাকে সব অনুবাদ করে শোনাব— সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে কিছুক্ষণ ধর্মের বাইরে গিয়ে বসি, কিছুক্ষণ স্থির হয়ে থাকি একা— যদিবা হঠাৎ ফুটে ওঠে অচেনা কোনো ফুল, ত্রাহি রাত্রির গভীরে— পিলসুজে জ্বেলে দেব স্মৃতির প্রদীপ—
আর তাই, চৌপ্রহর চেয়ে থাকি করুণ কোনো হিমঘরের দিকে, দেখি, সন্ধ্যার কার্নিশে কীভাবে ঝুলে থাকে সীমাহীন শূন্যতা অথবা কী নিপুণ কৌশলে কীভাবে নেচে ওঠে শ্মশানের লেলিহান আগুন—
এই মৌনতা, যেন প্রত্ন-খননে উঠে আসা কোনো প্রাচীন পাথরের গায়ে অচেনা ভাষার লিপি— উদ্ধার-অসম্ভব লেখাজোখা তার— হিজিবিজি, যেন সুমসৃণ তলে অস্পষ্ট লেগে আছে রাগত বেড়ালের তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়—
ঠিক এই নিস্তব্ধতার মতো— যার মুখরতা কোনো দিনও অনূদিত হবে না আর— অথচ আমি মুঠোর ভেতরে প্রতিজ্ঞার জ্বলজ্বলে মশাল নিয়ে বসে আছি একদিন তাকে ভাষা দেব বলে—