কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। আগামী ১২ ও ১৩ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৩৪তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় উৎসবের আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া বলেন, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাংলা ভাষাভাষী তথা বাঙালি রয়েছেন সেখানেই ২৫শে বৈশাখ ও ২২শে শ্রাবণ আসে উৎসবের বেশে, স্মরণের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রভাব বাঙালি জীবনে সর্বব্যাপী। এর মধ্যে এসেছে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা-সংকট। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে আমরা ছাড়তে পারিনি। কিছুতেই রবীন্দ্রবিমুখ করা যায়নি বাঙালিকে।”
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ৮০ বছরের জীবনে একটি জাতির মননের ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, নৃত্য, ছড়া, প্রবন্ধ, ভাষণ, চিত্রকর্ম, চিঠিপত্র প্রায় সব দিয়ে গেছেন। যা পৃথিবীর আর কোনো মনীষী করে দিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই। তাই প্রতিবছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আমরা উৎসবের আয়োজন করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১২ ও ১৩ মে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৩৪তম রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য- ‘করিস নে লাজ, করিস নে ভয়/ আপনাকে তুই করে নে জয়।’
১২ মে (শুক্রবার) বিকাল ৫টায় রবীন্দ্রসংগীত উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নসরুল হামিদ। ওইদিন গিটার শিল্পী এনামুল কবির ও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলামকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হবে। নতুন প্রজন্মকে রবীন্দ্র-উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করায় তাদের দুজনকে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান।
১৩ মে দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৫টায় আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।