এক।
এতোটাই অসাড় আমি—সাত মাস পেরিয়ে আট মাসেও বোঝনি।
সেই ১০ মার্চ! সেই থেকে হাতে মালা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি—
কড়া-রোমাঞ্চহীন শুকনো পাতা ঝরা দিনে বেলিফুলের মালা হাত বাড়িয়ে
রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে হয়তো ভেবেছিলাম
এ বুঝি স্বর্গ—
‘তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে না যাই আর’
দুই।
থমকে যাচ্ছে সেই নিবিড়তা, বিকেলের শান্ত রোদ ঝিমোচ্ছে, নেমে আসছে গোধূলি
সাদা-নীল-কালো-বাদামি পাখিগুলো ফিরে যাচ্ছে নীড়ে, মিলে যাচ্ছে অন্ধকার
না হয় আমি তোমার ক্ষতে আঘাত করেছি, যদি আমার ‘ভালোবাসা’ সত্য হতো
বুঝতে আমাকে!
সত্য হোক, মিথ্যা হোক—কিবা এসে যায়?
একাই খুঁজেছো তুমি? আমি বুঝি তোমাকে খুঁজিনি?
তিন।
১৭ মাস পেরুনোর পর মনে হলো তোমার—‘সুখে থাকলে ভুতে কিলায়’
চিরকালই আমি উদভ্রান্ত, জলের ওপর মিছে বেহুলা যখন চুল ধরে
তুমি বললে, ভণ্ড মিথ্যুক কোথাকার এতদিন আমার চোখে কেন
কাজল পরিয়ে রেখেছিল তুমি?
কত আহ্লাদ—কত সোহাগ তোমার কাছে চেয়েছি, সব কী মিথ্যে!
এখনও কত সাধ-আহ্লাদ ছিলো...
তার আগে কচুরিপানার ঝোপে পড়ে গেলাম, উঠতে পারলাম না।
সব উদ্দীপনা ফিনিশ। এখন আমি পর্দা তুলবো কী করে?
কিছু এসে যায় তাতে? একাই খুঁজেছো তুমি? আমি বুঝি তোমাকে খুঁজিনি?
সবকিছু সবার জন্য হয় না। ঝরাপাতার মতো আমিও ঝরে যাই।
শুধু ক্ষণিকের গান—গেলাম নিভৃতে রেখে ঝাঁ ঝাঁ শূন্যতায়।
চার।
আমার ত্যাড়া কথা বোঝো—সব বোঝো।
অভিমান বোঝো না—প্রেম বোঝো না—অধিকার বোঝো না?