সংস্কৃতিবাংলার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈচিত্র্যে বহুত্বে বাংলার সংস্কৃতি: গ্যাঁড়াকল ও পরিত্রাণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা সামাজিক ন্যায়বিচার, পরমতসহিষ্ণুতা এবং মানবিক কল্যাণের সংস্কৃতির ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে ড. সলিমুল্লাহ খান সাংস্কৃতিক ঐক্যের সমাজ গড়ে তোলার জন্য শ্রেণিবৈষম্য বিলোপের ওপর জোর দিতে বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের প্রণীত সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো প্রতিফলন হয়নি।
ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, “দেশে দুই মাস আগে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে ক্ষমতার রূপান্তর হয়েছে; কিন্তু নতুনের পুরোপুরি জন্ম হয়নি। এমন সময়ে সংকটের জন্ম হয়।”
সলিমুল্লাহ খান বলেন, “আমরা বাদশা আকবরের আমলে চলে গেছি। কারণ এখানে সব ধর্মের ধর্মগুরুদের সমন্বয় ঘটেছে। কারণ আকবর সব ধর্মের কথা শুনতেন। তিনি সবার সঙ্গে শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করা হয়। ব্রিটিশ ইতিহাসে আমাদের যে লড়াই তা আমাদের নিচের ক্লাসে পড়ানো হয় না। আকবর তুর্ক হিসেবে এদেশে এসে শান্তির বাণী ছড়িয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাদার তপন ক্যামিলাস ডি রোজারিও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী দেবধ্যানানন্দ, উত্তর বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ মুদিতা পাল থের, লেখক, আদিবাসী নেতা ও মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান এবং টঙ্গি আন-নূর জামে মসজিদের খতিব শায়খ আলী হাসান তৈয়ব।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাসউদ ইমরান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি সোহেল হাসান গালিব।