দূর থেকে দেখেই অনিন্দিতাকে চিনতে পেরেছিল ঈশান। কাছে যাওয়ার পর পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে হঠাৎই অনিন্দিতা তাকে বলে, ‘আমি সেদিন অনেক চেষ্টা করেছিলাম জানো, কিন্তু বাবা আমায় আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে শহর থেকে অনেক দূরে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়ে দেয়। ফিরে আসার পর জানতে পারি তোমরা ওখানে আর থাকো না। তারপর আমার বিয়ে ঠিক হয় আর এখন আমি এক সন্তানের মা। রাজু দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এবার তোমার কথা বলো।’
‘বিয়ে করেছি। এক সন্তানের বাবা।’ মিথ্যে কথাগুলো বলতে গিয়ে ঈশানের গলা ধরে এলো। সে জীবনে একজনকেই ভালোবেসেছে। অনিন্দিতার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এতটুকু মিথ্যের আশ্রয় তাকে নিতেই হতো।