রাজধানীর সেগুবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ১৫তম জাতীয় পিঠা উৎসব। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আগামী ১৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যজন কামাল বায়েজিদ, নৃত্যগুরু আমানুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ম হামিদ, সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান।
নৃত্যগুরু আমানুল হক বলেন, “পিঠা উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠার আছে নানান রকমের। আর এই পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা ঐ অঞ্চলের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে পারি।”
মঞ্চসারথি আতাউর রহমান বলেন, “পিঠা উৎসব বাঙালির একটি অর্জন। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ আমাদের এই পিঠা উৎসব। আর এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেদের আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি পৃথিবীর সামনে।”
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, “ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ৮টি জেলায় পিঠা উৎসব হয়। আমরা চাইব আগামীতে দেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক এই পিঠা উৎসব। বাঙালির বাঙালিত্ব প্রকাশ হোক এই দেশীয় সংস্কৃতিতে সামনে এনে।”
শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠাশিল্পীরা শীতের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ৫০টির বেশি স্টলে বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা কারিগররা তৈরি করছেন ভাপা, চিতই, দুধচিতই, পাটিসাপ্টা, পাকন, তেল ও ম্যারা পিঠাসহ ২০০ রকমের পিঠা।