কবি ও কথাসাহিত্যিক সুজন দেবনাথের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’-এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান ‘উঠোন’-এর আয়োজনে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।
কবি অনিকেত রাজেশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি’র মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে বইটি সম্পর্কে জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা মন্তব্য করেন, “আমি মনে করি, গত চার-পাঁচ দশকের সমস্ত কবিতা এই জুজুৎসু প্যাঁচের কাছে হারতে বসেছে।”
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বইটি নিয়ে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন একটি স্বরচিত পঙক্তির মাধ্যমে। তাৎক্ষণিকভাবে রচিত পঙক্তিতে মুহম্মদ নূরুল হুদা উল্লেখ করেন, “হুদা, হিমালয় হয়ে হ্রদ হয়ে গেল/সেই হ্রদে সুজন কবি হোমার হয়ে গেল।”
অনুষ্ঠানে ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ থেকে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত রায়, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নায়লা তারান্নুম কাকলি, মজুমদার বিপ্লব, সালমা শবনম, মিসবাহ রাবিন ও সিফাত বন্যা।
অংশগ্রহণকারী আবৃত্তিশিল্পীরা কাব্যগ্রন্থটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। তারা যোগ করেন, “একটি বইয়ের সবগুলো কবিতাই ভালো লেগেছে, এমন বই অনেক বছর চোখে পড়েনি। সেদিক থেকে ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ একেবারে অনন্য।”
আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন অলক দাশগুপ্ত, ফারহানা রহমান কান্তা, মারুফ হোসেন, বর্ষা রাহা, শাহানাজ আক্তার, হুমায়রা ফাহমিদা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গীতিকার, সুরকার অলক দাশগুপ্ত।
কবি সুজন দেবনাথ ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’ সম্পর্কে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এই বইয়ের কবিতাগুলো শুরু হয়েছিল গ্রিসে আর শেষ হয়েছে ভুটানে হিমালয়ের কোলে। গ্রিসের সাগরগুলোকে আমি বলি হোমার-সাগর। তাই বইটির নামকরণ করা হয়েছে ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’।”
গ্রিক সভ্যতার শুরুর দিকের মহান দার্শনিক সক্রেটিসের সময় নিয়ে সুজন দেবনাথ রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।