• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলায় ই-বুক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২, ০৯:২২ পিএম
বইমেলায় ই-বুক

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাগজের বইয়ের সঙ্গে দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইলেকট্রনিক বুকের (ই-বুক)। অমর একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটি ই-বুক স্টল। উৎসুক তরুণ পাঠকদের ভিড় দেখা যায় ওই স্টলগুলোতে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বই এখন কেবল কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বই চলে এসেছে মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবেও। তাই তরুণদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই এখন ই-বুকের পাঠক। অ্যাপ ডাউনলোড করে অনেক পাঠক বিনামূল্যে খুব সহজেই নিজের মোবাইল ফোনে পেয়ে যাচ্ছে প্রিয় সব লেখকের বই।

ই-বুকের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মো. সাইদুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ই-বুকের সবচেয়ে মজার বিষয় এটা সহজে বহন করা যায়। কারণ আমার ছোট্ট ফোনেই একটি অ্যাপসের মাধ্যমে থাকছে এই বই। তাছাড়া পথে জ্যামে আটকে পড়লে অনেক সময় বই পড়তে ইচ্ছে করে। তখন ই-বুকের সাহায্যে পছন্দের সব লেখকের বই আমরা পড়তে পারি।”

মেলায় সাইফুর রহমান অয়ন ‘বইটই’ স্টল থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করেন। বই পড়ে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু বিখ্যাত অনেক লেখকের বই সবসময় সংগ্রহে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। সংবাদ প্রকাশকে অয়ন বলেন, “ই-বুকে পাওয়া যাচ্ছে বিখ্যাত সব লেখকের বই, যার সবগুলো আমার সংগ্রহে রাখা সম্ভব নয়।”

এদিকে মেলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে তিন হাজারের বেশি পাঠক ই-বুক সংগ্রহ করেছেন বলে জানান প্রকাশকরা।

‘সেইবই’ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুল মালেক বলেন, “বাংলা সাহিত্যকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ‘সেইবই’। এখানে বিখ্যাত অনেক লেখকের লেখা আছে। বইগুলো পড়ার জন্য পাঠককে ‘সেইবই’ অ্যাপটি মোবাইল বা ট্যাবে ইনস্টল করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েট এবং আইওএস-নির্ভর স্মার্টফোন এবং ট্যাব ব্যবহারকারী পাঠকরা অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।”

ডিজাটালমনা পাঠকের সাহিত্য-তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইমেলায় স্টল নিয়েছে ই-বুক ‘বইটই’। ‘বইটই’-এর প্রতিনিধি মো. নাহিদ খান বলেন, “বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির মিশেলে সাহিত্যকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতেই এবারও বইমেলায় আছে ‘বইটই’। পাঠকের দীর্ঘদিনের ডিজিটাল বইয়ের চাহিদা মেটাচ্ছে ‘বইটই’।”

মো. নাহিদ খান আরও বলেন, “এবার বইমেলায় দুই হাজারের বেশি লেখকের বই অ্যাপটিতে আছে। মানুষকে নতুন ধাঁচের এক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ‘বইটই’ অ্যাপে স্বল্পমূল্যে পাঠকরা সংগ্রহ করছেন দেশের স্বনামধন্য লেখকদের নিত্যনতুন সব বই।”

ই-বুকের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘মুঠোবই’। এর প্রতিনিধি মো. জাকারিয়া বলেন, “ই-বুক পাঠকের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটানোর কাজ করছে ‘মুঠোবই’। প্রকাশনা সংস্থার অভাবে যেসব তরুণ বা কম পরিচিত লেখক নিজেদের লেখা প্রকাশ করতে পারছেন না, তাদের জন্য বই প্রকাশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে ‘বইটই’। তাছাড়া ‘মুঠোবই’ থেকে বইপ্রেমী পাঠক পাবে তার পছন্দের সকল লেখার সমাহার। আমরা চেষ্টা করছি পাঠকের প্রয়োজনীয় বই তাদের হাতে হাতে পোঁছে দেওয়ার।”

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!