এ পাথরপুরীতে একদিন আসবে
পথ-হারানো যুবক
ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ ছড়িয়ে পড়বে
দিগন্তে।
স্পন্দনহীন এ নগর।
বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো
নেমে এসেছে অন্ধকার।
ঘোড়ার পায়ের আর
যুবকের নিশ্বাস
দামামার মতো বাজে।
পাথরের ঘরবাড়ি, দরোজা খিলান।
ঘোড়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে, যুবক
ছিটকে যায়।
না জল, না একমুঠো দানা।
পায়ে পায়ে মানুষের কঙ্কাল।
খুলি বা বুকের খাঁচা।
কাছাকাছি
রাক্ষসের গহ্বর।
এ পাথরপুরীকে জাগিয়ে তুলবার ভার
যুবক বুঝতে পারে, কার।
এখন কিছু অপেক্ষার পালা।
রূপকথার পুরোনো পাঠশালা।