দেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের একজন প্রশান্ত মৃধা। প্রাবন্ধিক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। আজ শনিবার এই সৃজনশীল মানুষটির ৫০তম জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
প্রশান্ত মৃধার জন্মদিনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে লেখক-পাঠক আলাপচারিতার আয়োজন করা হয়। বাতিঘরের সার্বিক সহযোগিতায় সভার আয়োজক ছিল প্রকাশনা সংস্থা নাগরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত মৃধাসহ তার বন্ধু-স্বজনরা ও শুভাকাঙক্ষীরা।
নিজের ৫০তম জন্মদিনে এমন আয়োজনে আপ্লুত প্রশান্ত মৃধা। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “জন্মদিন সবসময়ের জন্য আনন্দের। স্বাধীনতার বছর আমার জন্ম এটা আমার জন্য গর্বের। ওই বছর মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি তো এটা মনে করি যে, বাংলাদেশ আর আমি সহগামী, সহযাত্রী।”
প্রশান্ত মৃধাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, “প্রশান্ত মৃধা এ সময়ের কথাসাহিত্যিক হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচুর্যপূর্ণ। তিনি পঞ্চাশের অধিক বই লিখেছেন। এর বাইরে তিনি বন্ধু হিসেবে অসাধারণ। তার কাছে মনের কথা বলা যায়। সবকিছু শেয়ার করা যায়। মনের গোপন ও গহীনতম দুঃখবোধের কথাও বলা যায়। সব বন্ধুকে এমনটা বলা যায় না।”
আরেক বন্ধু কবি আলফ্রেড খোকন বলেন, “আমরা যারা নব্বই দশক থেকে লেখালেখি শুরু করেছি তাদের মধ্যে লেখক ও বন্ধু—একাকার হয়ে গেছে। প্রশান্ত কথাসাহিত্যে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। গদ্যে ভাষাশৈলী তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে।”
এদিকে অনুজ কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান বলেন, “নব্বই দশকের গুরুত্বপূর্ণ কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা। আমাদের প্রজন্মকে যারা পথ দেখাচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ভালো লাগছে, তিনি তার জীবনের ৫০ বছর পার করেছেন। তিনি গত ৩০ বছর ধরে যেভাবে সাহিত্যচর্চা আগামীতেও সেটা অব্যাহত থাকবে—এটাই প্রত্যাশা করি।”
গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি প্রবন্ধ ও কলামসহ নানাধরনের গদ্য লিখে থাকেন। ব্যক্তিগত ও রম্য রচনায়ও আগ্রহী। বইয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘বাঙলার পাঠশালা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার’, ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’, ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার ২০০০’।