আমার হেমন্তশাখায় বসেছে পাখিটি
শুনিয়েছে গান। দিনভর শস্যহীন প্রান্তরে
অক্লান্ত ফুটিয়েছে প্রত্যাশার রকমারি ফুল!
পৌষালি জ্যোৎস্নার সরল রাতে-সে এখন
চুপচাপ, হয়তোবা বেঘোরে ঘুমায়!
আমার হেমন্তশাখায় বসেছে পাখিটি
সে কি ঘুমিয়েছে? ঘুম কি হয় তার আজ!
নাকি মাইগ্রেন যন্ত্রণায় কাতর হতে হতে
নির্বিকার-দেহ রাখে পূর্ণিমাসভায়!
আমার হেমন্তশাখায় বসেছে পাখিটি
যার সোনালি পালকে মুগ্ধতার অথৈ প্লাবন,
যার নিজস্ব নদী বয়ে চলে মতে-ভিন্নমতে;
মাঝে মধ্যে উঁকি দেয় প্রাচীন অরণ্যে আর
দীর্ঘ নন্দনের অন্তঃস্রোতে-বুকের অতলে।
আমার হেমন্তশাখায় বসা পাখিটিকে বলি
জীবন সম্পদ করো-সত্য ও সৌন্দর্যে;
সময়ের হাতে হাত রেখে যাপন করো
সকল ঋতুতে জেগে থাকো-প্রণয়সুলভ।