প্রকাশ হয়েছে প্রতিবুদ্ধিজীবীর ৩৪তম সংখ্যা (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২)। সাদাত উল্লাহ খান সম্পাদিত এই পত্রিকার এবারের বিষয় 'সাম্রাজ্যবাদের সমাজবিজ্ঞান'।
এ সংখ্যায় ছাপান হয়েছে সলিমুল্লাহ খান, প্রভাত পট্টনায়ক, ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, সামির আমিন সহ আরো অনেকের লেখা।
৩৪তম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে সম্পাদক লিখেছেন:
"করোনা মহামারি সমগ্র দুনিয়াতে দানবীয় প্রতাপে সবকিছু এলোমেলো করে চলেছে । এখন অনেক দেশে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে । বাংলাদেশে শিক্ষাজগতে করোনার আগ্রাসন ভয়াবহ । বেশ কয়েক বছর সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল অবস্থায় পতিত হয়েছে । দেশে বিদ্যমান মূর্খকরণ প্রক্রিয়া অধিকতর জোরদার হয়েছে । এটা সমগ্র জাতির জন্য অশনি সংকেত । করোনার প্রকোপে পড়ে প্রতিবুদ্ধিজীবী'র প্রকাশনাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সর্বদা জ্ঞানের আলো ও শিক্ষার মানবিক জোরদার করতে চাই। বিশ্বব্যাপী তৎপর একটা বাস্তব ধারণা ও রাজনৈতিক মতবাদকে সহজসরলভাবে মাতৃভাষায় জাতির সামনে উপস্থাপন করতে চাই। তারই আলোকে ‘সাম্রাজ্যবাদের সমাজবিজ্ঞান' প্রকাশ করছি।
"সাম্রাজ্যবাদ এমন ধরনের রাজনৈতিক – অর্থনৈতিক অন্তর্জাল - আমরা সবাই ইচ্ছায় – অনিচ্ছায় – যার বাইরে নাই । কোনো না কোনোভাবে আমরা সাম্রাজ্যবাদের এই অন্তর্জালে আবদ্ধ। দূরদর্শী চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান 'সাম্রাজ্যবাদ কি জিনিশ?' শীর্ষক প্রবন্ধে দেখিয়েছেন কিভাবে বাংলাদেশের তথাকথিত শিক্ষিতসমাজকে সাম্রাজ্যবাদ সত্য বলার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ আমাদের ভাবনার জগতকে পাল্টে দিয়েছে । তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে সাম্রাজ্যবাদ আমাদের ডুবিয়েও মারতে পারে। তিনি একই সাথে চিন্তার একটা বিশেষ বিষয় হিসেবে সাম্রাজ্যবাদের ধারণার ইতিহাসের পরিচয়ও তুলে ধরেছেন।
"মহামতি লেনিন ( ১৮৭০-১৯২৪ ) এর বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মের শ্রেষ্ঠ ফসল: সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়। আমরা তাঁর পুরো লেখাটির বাংলা অনুবাদ এখানে মুদ্রণ করেছি । ভারতীয় মার্কসীয় চিন্তাবিদ প্রভাত পট্টনায়ক একটা জ্ঞানশীল দীর্ঘ ভূমিকা লিখেছেন এবং জয়ন্ত আচার্য ও বিপুল ভট্টাচার্য অনুবাদ করেছেন । আমরা এখানে সেটাও মুদ্রণ করেছি । প্রতিবুদ্ধিজীবী’র একটা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল বই সমালোচনা। আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে জ্ঞানবিজ্ঞানের বিস্তার ঘটে। সেই আলোকে এই সংখ্যায় আমরা বেশ কয়েকটা বইয়ের সমালোচনা উপস্থাপন করেছি। আমাদের সকল লেখক, পাঠক/পাঠিকা এবং পৃষ্ঠপোষককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।"
পত্রিকাটির মূল্য ৩০০টাকা। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে।