• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০,

বুলবুল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৩:১৭ পিএম
বুলবুল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ছবি: রুদ্র আরিফ

বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।

রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের বট গাছের বেদীতে সাহিত্যের এ অগ্রদূতের মরদেহ রাখা হয়। 

এ সময় তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নিসর্গীয় লেখক মোকারম হোসেন, কথাসাহিত্যিক মাহবুব রেজাসহ সাধারণ মানুষ।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এই গুণীজনের সাহিত্যচর্চা সম্পর্কে বলেন, “বুলবুল চৌধুরী চরিত্রপ্রধান অসংখ্য ছোটগল্প লিখে গেছেন। তিনি অন্যরকম গল্পকার। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকলেও তাঁর সাহিত্যচর্চা থেমে ছিল না। এই অসুস্থতার মধ্যেই তিনি ‘একুশে পদক’ পেয়েছেন।”

বাংলা একাডেমির উপপরচিালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, “বাংলা সাহিত্য একজন গুণী লেখক হারিয়েছেন এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম অভিভাবক হারালো।”

এর আগে শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাংলাবাজারের বাসায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুলবুল চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যানসার ধরা পড়ে এই কথাসাহিত্যিকের।

১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে বুলবুল চৌধুরীর জন্ম। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে সরকার তাঁকে একুশে পদকে সম্মানিত করে।এর আগে ২০১১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

বুলবুল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে (ছোটগল্পগ্রন্থ) টুকা কাহিনি, পরমানুষ, মাছের রাত, চৈতার বউ গো। (উপন্যাস) অপরূপ বিল ঝিল নদী, কহকামিনী, তিয়াসের লেখন, অচিনে আঁচড়ি, মরম বাখানি, এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে, ইতু বৌদির ঘর, দখিনা বাও, জলটুঙ্গি, পাপপুণ্যি, ঘরবাড়ি, দম্পতি, বলো কি অনুভব।

রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বাংলা একাডেমি থেকে বুলবুল চৌধুরীর মরদেহ মিরপুর-১০ নিয়ে যাওয়া হয়। যোহরের নামাজের পর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


 

Link copied!