লোকসংস্কৃতি গবেষক, কবি ও কথাসাহিত্যিক নাজমীন মর্তুজার জন্মদিন আজ (মঙ্গলবার)। ১৯৭৭ সালের ১৫ মার্চ দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জে তার জন্ম।
সাহিত্য ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির গবেষণায় ইতোমধ্যে নাজমীন মর্তুজা যথেষ্ঠ নিষ্ঠার স্বাক্ষর রেখেছেন। যৌথভাবে রচনা করেছেন, বাংলা সাহিত্যের অলিখিত ইতিহাস, ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্য : জারি গানের আসরে ‘বিষাদ-সিন্ধু’ আত্তীকরণ ও পরিবেশন-পদ্ধতি এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র। এছাড়া ‘বাংলা পুঁথি সাহিত্য’ নামে সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মুহম্মদ এনামুল হক প্রমুখ গবেষকের পুঁথি-সাহিত্য সম্পর্কিত প্রবন্ধমালা।
নাজমীন মর্তুজার গবেষণা-গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের ফোকলোর’ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণা-গ্রন্থগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে তিনি সপরিবারে সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে বাস করছেন এবং সেখানে তিনি লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন।
২০১১ সালে নাজমীন মর্তুজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বঙ্গবিদ্যা সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে ফোকলোর বিষয়ে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্য : জারি গানের আসরে ‘বিষাদ-সিন্ধু’ আত্তীকরণ ও পরিবেশন-পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য ‘সিটি ব্যাংক-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২’ লাভ করেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি ভাবনগর ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক। গবেষণা-গ্রন্থের পাশাপাশি নাজমীন মর্তুজার সৃজনশীল বইগুলো হলো— কাব্যগ্রন্থ : গুরুপরম্পরা, শ্রীরাধার উক্তি, মহামায়া কঙ্কাবতী, বাস্তবের লুকোচুরি; উপন্যাস : নোনাজলের চোরাবালি; গল্পগ্রন্থ : নদীটির চন্দন জল; গবেষণাগ্রন্থ : সাইদুর রহমান বয়াতি : সাধকের স্বদেশ ও সমগ্র।