গরমের মৌসুমে ঘরে তরমুজ থাকে না, তা হতেই পারে না। এক ফালি তরমুজ খেলেই হয়তো স্বস্তি পাওয়া যায় এই গরমে। আর তরমুজ দিয়ে কুলফি বানিয়ে নিলে তো সোনায় সোহাগা। গরমের তৃপ্তি মেটাতে এর জুড়ি নেই। বাজারের কেনা কুলফির তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সুস্বাদু।
এই বছর দাম নাগালে থাকায় বড় আকারের তরমুজই সবাই বেশি কিনছেন। তবে গরমে বেশি সময় ভালো থাকে না ফলটি। ফ্রিজেও এক থেকে দুই দিন ভালো থাকে। এরপর এর স্বাদও কমে যায়। তরমুজ টাটকা খেয়ে নিলেই উপকার বেশি। এরপরও বাড়তি তরমুজ থাকলে কুলফি বানিয়ে রেখে দিন। এটি আপনার প্রচণ্ড গরমের তৃষ্ণা মেটাবে।
মাত্র ২০ মিনিটেই তরমুজের কুলফি বানিয়ে নেওয়া যায়। তাই যেকোনো সময়ই এই পদটি বানিয়ে নেওয়া যাবে।
তরমুজের কুলফি বানাতে যা যা লাগবে
- তরমুজ- ১ কাপ (ছোট করে কুঁচানো)
- শসা- ১টি (ছোট করে কুঁচানো)
- চাট মসলা- ১ চা-চামচ
- লবণ- ১/২ চা-চামচ
- চিনি- ২ চামচ
- লেবুর রস- ১ চা-চামচ
তরমুজের কুলফি বানাবেন যেভাবে
প্রথমে তরমুজ ও শসা কুচি করে কেটে নিন। তরমুজকুচি একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন। একইভাবে শসাকুচিও ব্লেন্ড করুন। পানি মেশাবেন না। থকথকে পেস্ট হবে। একটি পাত্রে তরমুজ, শসা, লবণ, চাট মসলা, চিনি এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। সব উপকরণ ব্লেন্ডারে দিয়ে আবারও ব্লেন্ড করুন।
এবার মিশ্রণটি কুলফি বানানোর ছাঁচে দিয়ে দিন। ছাঁচের মুখ বন্ধ করে ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে নিন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কুলফি জমে যাবে। অন্তত ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে এরপর বের করে নিন। ছাঁচ থেকে বার করলেই তরমুজের কুলফি তৈরি হয়ে যাবে। ফ্রেশ ক্রিম ওপরে ছড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন, খাওয়ার আগেই ফ্রিজ থেকে বের করবেন। না হলে গলে গিয়ে এর স্বাদ নষ্ট হতে পারে।