শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো শিশুদেরও নিয়মমাফিক ঘুমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়ে। শিশুর দৈনন্দিন কাজ ও লেখাপড়ায় মনোযোগও আসে। আমেরিকার ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’-এর এক গবেষণায় জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আর পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। যা শিশুকে পরিপক্ক করে তোলে।
শিশুকে ছোটবেলা থেকে যেমন অভ্যাস করানো হবে, তেমনভাবেই বেড়ে উঠবে। তাই রাতে ও দিনে সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস করানো উচিত। শিশুর এই অভ্যাস বড় হলেও থেকে যাবে। সে একটি সুনির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যেই থাকবে। শিশুকে ঘুমের অভ্যাস করাতে যে বিষয়গুলোতে নজর দেবেন, চলুন জেনে আসি এই আয়োজনে।
- সন্তানকে প্রতিদিন একই সময় শোয়ানোর ব্যবস্থা করুন। একই সময়ে শোয়ার অভ্যাস হলে শিশু ওই নির্দিষ্ট সময়ের পর জেগে থাকবে না।
- ঘুমের ঘণ্টা খানেক আগ থেকে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। শিশুর মস্তিস্ক সজাগ ও সক্রিয় থাকে। এতে ঘুমও হয় দেরিতে।
- আপনিও একই অভ্যাস করুন। ঘুমের আগে সবকিছু থেকে দূরে থাকুন। শিশু আপনাকে দেখেই শিখবে।
- সন্তানকে খেলাধুলার অভ্যাস করান। খেলাধুলা করলে শরীরের ব্যায়াম হয়। যার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে উঠে। ঘুমও ভালো হয়।
- শিশুর সঙ্গে আপনিও বিছানায় যাবেন। আশপাশের আলো বন্ধ করে তাকে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিন।
- শিশুর ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে খাবার খাইয়ে দিন। খাওয়ার পর পর ঘুমাতে গেলে শিশুর অস্বস্তিবোধ হতে পারে। এতে ঘুমও দেরিতে আসে।
- ঘুমের আগে শিশুকে বই পড়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন। ছোট্ট শিশুদের গল্প শোনাতে পারেন। এতে শিশুর ঘুমের রেশ উঠবে। ঘুমের আগে এই ধরনের কাজ করলে এটি শিশুর অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই ঘুমও ভালো হয়।