শাশুড়ি মানেই বন্ধুত্ব থাকবে না। এমনই ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। বিয়ের আগে থেকেই বহু ক্ষেত্রে এমন ধারণা তৈরি করে দেওয়া হয়, যাতে শাশুড়ি আর বউমার মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগ না ঘটে। আবার অনেক পুত্রবধূ শাশুড়িকে দেখলেই ভয় পান, রেগে ওঠেন বা অপছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি হতে পারে একধরনের ফোবিয়া। আর এই ফোবিয়া হলো একধরনের মানসিক রোগ বা ব্যাধি। গবেষকরা এ ধরনের ফোবিয়াকে বলছে ‘পেনথেরাফোবিয়া’।
কিন্তু প্রথম থেকেই সচেতন থাকলে সুন্দর হতে পারে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক। একে অপরের কাছে আসতে পারেন, দিব্যি বন্ধুত্ব করে নিতে পারেন।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনার শাশুড়ি হবে আপনার বন্ধু-
- মাঝেমধ্যে একসঙ্গে রান্না করে দেখুন। তাতে একে-অপরের কাছে আসা হবে। কোন ফোড়ন দেবেন, কী ভাবে সব্জি কাটবেন, তা নিয়ে আলোচনা করুন।
- শাশুড়ির সঙ্গে বেড়াতে যেতে পারেন মাঝেমাঝে। ছোটখাটো কেনাকাটাও করতে যাওয়া যায় একসঙ্গে। এতে করে সম্পর্ক সুন্দর হবে।
- বিকালে সময় করে শাশুড়ির সঙ্গে এক কাপ চা খেতেই পারেন। এ সময়টাতে শুনে নিন শাশুড়ির ছেলেবেলা। মনে রাখবেন তারা সবসময় গল্প করতে ভালোবাসেন।
- স্বামীর ছোটবেলার গল্প শুনতে একদম ভুলবেন না। আপনার স্বামী কী খেতে ভালবাসেন, কত বার মায়ের কাছে বকুনি খেয়েছেন— এই সব জানতে চান। একবারে অনেকটা দূরত্ব ঘুচে যাবে।
- প্রতিটা মানুষের মধ্যে নানান সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই সেসব বিষয়ে কথা না বলে মানুষের গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করুন। শাশুড়ির ভালো অভ্যাসগুলোই বারবার সামনে আনুন।
- ছোটছোট বিষয়ও মাঝেমধ্যে শাশুড়ির পরামর্শ নিন। শাশুড়িকে যে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এর মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারবেন। মনও ভাল হবে। আপনার ভাল-মন্দ নিয়ে ভাবনাও লেগে থাকবে তাঁর।
- শাশুড়ির সম্পর্কেও জানতে চাইবেন। তিনি কী পছন্দ করেন, কোন কাজ করতে ভালো লাগে, সে সব নিয়ে আলোচনা করুন।
- প্রতিটা মানুষের জীবনে সংগ্রাম থাকে, শাশুড়ির কাছ থেকে তার জীবনের চড়াই-উতরাই জানতে চান। তিনি অবশ্যই খুশি হবেন।
- সবচেয়ে বড়কথা ব্যক্তি হিসাবে ব্যক্তির যথার্থ মূল্যায়ন করুন, যেকোনো সম্পর্ক সুন্দর হতে বাধ্য।
সূত্র: আনন্দবাজার