সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই পেঁয়াজের দামে হেরফের হয়। এই সপ্তাহে দাম কম তো, পরের সপ্তাহেই বেড়ে যায়। প্রতিবছর একটি সময় পেঁয়াজের দামে আগুন লাগে। কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকাও গুণতে হয়। বিশেষ করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলেই এমন চিত্র দেখা যায় বাজারে। সেই সময় রান্নায় যে ভোগান্তি হয় তা টের পান গৃহিনীরা। বাড়ির কর্তাদেরও নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি আর পেঁয়াজ কিনেই হয়ে যায় পকেট ফাঁকা!
মধ্যবিত্তদের জন্য় পেঁয়াজের দামের সঙ্গে চাহিদার পাল্লা দেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনার চেয়ে বিকল্প কিছু ভাবুন। বাড়ির বারান্দা বা ছাদে টবে মধ্যেই শুরু করুন পেঁয়াজের চাষ। সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে টবেই পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে। পেঁয়াজের দাম নিয়ে চিন্তাও করতে হবে না। অন্তত নিজের প্রয়োজনটুকু মিটবে।
বাড়ির টবে কীভাবে পেঁয়াজের চাষ করা যাবে সেই কৌশলটি জানাব আজকের এই আয়োজনে_
- পেঁয়াজ চাষের জন্য মাঝারি আকারের টব নিন। বারান্দা হলে ছোট আকারের টবও নিতে পারেন।
- একটি পাত্রে বেলে ও দোআঁশ মাটি মিশিয়ে নিন। এবার টব ভর্তি করে মাটি দিন।
- বাজার থেকে কিনে আনা পেঁয়াজ দিয়েই শুরু হবে এই চাষাবাদ। শিকড়সহ বা শিকড় ছাড়া যেকোনো পেঁয়াজ হলেই চলবে। শিকড় ছাড়া পেঁয়াজ হলে তার মুখ এবং পিছনের দিকের সামান্য অংশ কেটে ফেলুন। শিকড়সহ পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন নেই।
- টবে মাটির মধ্যে আঙুল দিয়ে গর্ত করে নিন। ওই গর্তে পেঁয়াজ ঢুকিয়ে দিন। এর উপরে গুঁড়ো মাটির হালকা আস্তরণ দিন। এবার হালকা হাতে অল্প পানি ছিটিয়ে নিন।
- এবার সূর্যের আলো লাগে এমন জায়গায় টবটি রাখুন।
- পেঁয়াজ রোপন করার পর ৬ থেকে ১০দিন অপেক্ষা করুন। দেখবেন ওই টবে পুঁতে রাখা পেঁয়াজ থেকে পাতা বেরিয়েছে। এই অবস্থায় পেঁয়াজ পাতা কেটে খেতে পারেন।
- পেঁয়াজ পাতাগুলো ধীরে ধীরে সবুজ থেকে হলুদ রং হয়ে যাবে।
- গাছ শুকিয়ে হেলে পড়লে বুঝবেন পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় হয়েছে। সাধারণত পেঁয়াজ রোপনের ১১০-১২০ দিনের মধ্যেই তা উত্তোলনের উপযোগী হয়ে যায়। পেঁয়াজ তুলে রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন।