সারা বছরই এখন বিয়ের আয়োজন হয়ে থাকে। শীতকালকেই বিয়ের আদর্শ মৌসুম বলা হয়। কিন্তু গরমেও থেমে থাকে না বিয়ের আয়োজন। এমনকি বর্ষাকালেও বিয়ের আয়োজনের কমতি নেই। চারপাশ তাকালে দেখা যাচ্ছে সেই চিত্র। ছুটির দিনগুলোতে আয়োজন হচ্ছে বিয়ের। বর্ষার মৌসুমকে মাথায় রেখেই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পোশাক, বিয়ের স্থান, সাজগোজ সবকিছুতেই বর্ষাকালীন প্রভাবও থাকছে। আপনিও যদি বিয়ের প্রস্তুতি নিতে চান, তবে বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে যাবেন।
ওয়েডিংপ্লানাররা বিয়ের প্রস্তুতিতে এখন মৌসুমকে মাথায় রেখেই সাজিয়ে থাকেন। তাই কোনো ওয়েডিং প্ল্যানারের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। তবে বাজেটের মধ্যে সুন্দর করতে হলে নিজেকেই মাঠে নামতে হবে। সাধ্যের মধ্যে বিয়ের সবকিছু সুন্দর করতে নিজেই প্রস্তুতি নিন। বর্ষাকালের বিয়ের আয়োজনে তাই কিছু বিষয়ে খেয়াল রেখে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
কম খরচেই হবে আয়োজন
গরমে বিয়ে করেন, এমন মানুষ কমই রয়েছেন। তাই এই সময়টা কম খরচেই বিয়ের আয়োজন সেরে নিতে পারেন। বিয়ের সামগ্রীর দামও থাকে নাগালের মধ্যেই। তাই বাজেটের মধ্যেই সেরে উঠবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। আউটডোর ওয়েডিংয়ে একটু খরচ বাড়বে। কারণ, বৃষ্টির মধ্যেও আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে নিতে বাড়তি প্রস্তুতি প্রয়োজন। কিন্তু ইনডোর ওয়েডিংয়ে তেমন একটা ভোগান্তি হবে না। বিয়ের ভেন্যু, ফটোগ্রাফি, ডেকোরেশন সব ধরনের সার্ভিসই এই মৌসুমে কমে পেয়ে যাবেন। তাই কম খরচে বিয়ের আয়োজন করতে বর্ষা মৌসুমই উপযুক্ত সময়।
পছন্দসই সব আয়োজন
শীতের সময় বিয়ের ভেন্যু পাওয়া কষ্টকর। বর্ষাকালে সেই ভোগান্তি নেই। কমবেশি পার্টি সেন্টারগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। তাই পছন্দের ভেন্যুতে বিয়ের আয়োজন করাও সহজ হয়। তা ছাড়া ডেকোরেটর, ফটোগ্রাফি সার্ভিস পেতেও সমস্যা হয় না। নামীদামি ফটোগ্রাফাররাও এই সময়টাতে অবসরে থাকেন। পছন্দমতো নিজের বিয়ের জন্য বুকিং দিয়ে নিতে পারবেন। বিয়ের তারিখ নিয়েও তাই কোনও ঝামেলায় পড়তে হয় না।
বিয়ের বৈচিত্র্য
বর্ষাকালে বিয়ের আপ্যায়ানেও ভিন্নতা রাখা যায়। মৌসুমি ফল, খাবারের আয়োজন করা যেতে পারে। তা ছাড়া এই সময় প্রকৃতিতেও বিচিত্রতা থাকে। নানা ধরনের ফুল ফোটে। বিয়ের অনুষ্ঠানে সবকিছুই কাজে লাগানো যায়। এতে আয়োজনে আরও বৈচিত্র্য আসবে।
দিনে বিয়ের আয়োজন
বর্তমান সময়ে বেশ ট্রেন্ড চলছে দিনের বেলায় বিয়ের আয়োজন করার। হলুদ, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা দিনেই সেরে নিচ্ছেন। সন্ধ্যার পর শুধু নাচ-গান আর খাওয়াদাওয়া চলে। বর্ষাকালে দিনের সময়টা বেশি পাওয়া যায়। তাই দিনের আয়োজনে তাড়াহুড়ো হয় না। দিনের সময় ছবিও ভালো আসবে। আবার প্রকৃতির বৈচিত্র্যও ফুটে উঠবে। দিন ও রাতের সমন্বয়ে বিয়ের আয়োজন করতে বর্ষাকালই উপযুক্ত সময়।