তীব্র দাবদাহের মাঝে এক পসলা বৃষ্টিই জানান দেয় বর্ষাকাল চলছে। মুহূর্তেই শীতল হয়ে যায় মন-প্রাণ। শরীরের ঠান্ডা অনুভূত হয়। মেজাজেও আসে চনমনে অনুভূতি। শরীর, মন, মেজাজে ফুড়ফুড়ে ভাবে এলেও বর্ষাকালের ধকল কিন্তু কম নয়। ঘরবাড়ির বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। সেই নিজের পরিচর্যাও করতে হয়।
নারীরা রূপ সচেতন বেশি। মৌসুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের রূপচর্চার ধরণও বদলে যায়। তবে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই এখন। নিজের ত্বক নিয়ে ছেলেরাও এখন অনেকবেশি যত্নশীল। মৌসুমের সঙ্গে নিজেদের যত্ন নিতে এখন ছেলেরাও এগিয়ে। বর্ষাকালে পথে পথে কাঁদা, পানির জমে থাকে। ছেলেরা খুব বেশি বাইরে ঘোরাফেরা করে। তাই এসব থেকে তাদের ত্বকে মৌসুমী সংক্রমণ হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। বিশেষ করে ছেলেদের দাঁড়িতে চুলকানি, একজিমাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বড় দাঁড়িতে চুলকানি বাড়তে পারে এই মৌসুমে। তাই স্টাইলিস্ট দাড়ি রাখতে বর্ষা মৌসুমে বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
বর্ষাকালে ছেলেরা দাড়ির যত্নে কী কী করবে তা কিছু ধারণা থাকছে এই আয়োজনে।
নিয়মিত ট্রিম করা
বর্ষা মৌসুমে ছেলেদরে উচিত দাড়ি নিয়মিত ট্রিম করে নেওয়া। কিছুদিন পরপরই দাড়ি ছেঁটে নিতে হবে। এতে দাড়ির প্রান্তভাগ ভালো থাকে। চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। ত্বকের সমস্যা দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখতেই স্টাইলিস্ট লাগে।
দাড়িতে তেলের ব্যবহার
দাড়ির শুষ্কতা ও চুলকানি ভাব দূর করার জন্য তেল মাখানো দরকার। অনেকের ধারণা, শুধু আর্দ্র আবহাওয়ায় দাড়িতে তেল ব্যবহার করতে হয়। না বর্ষা মৌসুমেও দাড়িতে তেল লাগাতে পারেন। তবে তেল লাগিয়ে বাইরে না যাওয়াই ভালো। তেল ধুয়ে নিন। দাড়ির বৃদ্ধিতে তেল উপকারী। এটি দাড়িতে পুষ্টি যোগায় এবং হাইড্রেটেড রাখে। এক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল, বেবি অয়েল অথবা ভিটামিন ই-যুক্ত তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। যা দাড়ির চুল মোলায়েম ও ঝকঝকে রাখবে।
চিরুনি সঙ্গেই রাখুন
দাড়ি বড় হলে তা নিয়মিত আঁচড়ে নিতে হবে। এই জন্য সঙ্গে চিরুনি রাখুন। দাড়িতে গিঁট বা জট লাগবে না। এতে ধুলোবালি জমেও থাকবে না। তাই চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাছাড়া দাড়িকে সঠিকভাবে সেট করতে আঁচড়ে নেওয়া জরুরি।
নিয়মিত দাড়ি পরিষ্কার রাখুন
সব ঋতুতেই দাড়ি পরিস্কার রাখা জরুরি। দাড়ি পরিস্কার থাকলে ত্বকের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাবে ছেলেরা। তেল বা সিরাম ব্যবহারে দাড়ির নিচের ত্বকে আটকে থাকতে পারে। যা বেশিক্ষণ থাকলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, ব্রণ হতে পারে। তাই নিয়মিত দাড়ি পরিষ্কার করুন। এতে ত্বকের মৃত কোষও জমবে না। ঘরোয়াভাবে বা বাজারের কেনা প্রসাধনী দিয়ে প্রতিদিন মুখ ও দাড়ি পরিস্কার করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, এসব প্রসাধনী যেন ভালো মানের হয়।
ভেজা দাড়ি নিয়ে বাইরে যাবেন না
দাড়ি ধোয়ার পর ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। দাড়ি ভেজা থাকলে তা বর্ষাকালে আরও ভারি মনে হয়। দাড়ির নিচের ত্বকেও বাতাস পৌঁছায় না। এতে ত্বক এবং লোমকূপে ব্রণ হয়। সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই দাড়ি ভালোভাবে শুকালেই বাইরে বের হবে। মনে রাখবেন দাড়ি তোয়ালে দিয়ে ঘষে মুছবেন না। ড্রায়ারও ব্যবহার করবেন না। বরং প্রাকৃতিক উপায়েই শুকিয়ে নিন।