করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সবজি , ফল, মাছ, মাংস সবকিছুই খেতে হবে। কিন্তু রান্নার সময় এসব খাবারে পুষ্টি হারিয়ে যায়। ফল বা কিছু সবজি যেহেতু কাঁচাই খাওয়া যায় তাতে পুষ্টি পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। কিন্তু যেসব খাবার রান্না করে খেতে হয় সেগুলোতে অনেক সময় পুষ্টিগুণ কমে যায়। রান্নার পদ্ধতি উপর খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। তাই কোন পদ্ধতিতে পুষ্টিগুণ বজায় রেখে রান্না করা যাবে তা জানাব আজকের এই আয়োজনে_
সেদ্ধ রান্না
সেদ্ধ রান্নায় খাবারের পুষ্টিমান অনেকটাই অক্ষুন্ন থাকে। তবে হালকা সেদ্ধ খাবার খেতে হবে। বেশি সেদ্ধ হলে পুষ্টি হারায় খাবার। আলু, বিট, ডাল ও মটরশুঁটি সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। ব্রোকলি, শিম, গাজর এসব সবজি বেশিক্ষণ সেদ্ধ না করাই ভালো। তাতে পুষ্টিগুণ পানির সঙ্গে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে খোসাযুক্ত সবজি বেশি সময় ধরে সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
বেশি তাপে সেদ্ধ
বেশি তাপে খাবার রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায়। তাই অল্প আঁচে রান্না করুন। শাক, টমেটো বেশি তাপে সেদ্ধ করুন। এতে পুষ্টি, রঙ নষ্ট হবে না।
ভাপে রান্না
সবজির মধ্যে ব্রোকলি, ফুলকপি, গাজর সেদ্ধ না করে ভাপিয়ে রান্না করুন। স্বাদ বাড়বে। আমরা সাধারণত মাছ মশলায় কষিয়ে রান্না করে খেতে পছন্দ করি। এর চেয়ে ভাপে রান্না করা মাছে আপনি বেশি পুষ্টি পাবেন। খাবারও সুস্বাদু হবে।
তেলে কষানো রান্না
তেল স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর। তবে বাঙালির বেশি রান্না তেলেই করা হয়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহারের চেষ্টা করুন। অল্প তেলে রান্না করলে খাবারের রঙ ও গন্ধ ঠিক থাকে। চেষ্টা করবেন বেশি তেলে রান্না থেকে বিরত থাকতে।
মশলার রান্না
রান্না সুস্বাদু করতে মশলার বিকল্প নেই। যত পারফেক্ট মশলা ততই সুস্বাদু খাবার। তবে বেশি মশলা রোজকার রান্নায় না খাওয়াই ভালো। এমন মশলা ব্যবহার করুন যা পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং স্বাস্থ্যকরও।
গ্রিল রান্না
মাংস বা মাছ রান্নায় গ্রিল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সবজিও গ্রিল করে খাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৬০ মিনিট রান্না করতে পারেন। গ্রিল করা হলে মাংস থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমবে। তাই গ্রিল রান্না করলেও খুব বেশি সময় না করাই ভালো।
ডুবো তেলে না ভাজা
অল্প তেলে ভেজে নিন। ডুবো তেলে ভাজা রান্নাগুলো এড়িয়ে চলুন। সবজি, চিকেন বা মাছ ননস্টিকি প্যানে অল্প তেলে ভেজে রান্না করুন। এতে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে।