বাঙালির প্রিয় খাবার ভাত আর মাছ। গরম ভাতের সঙ্গে মাছের পদ পেলে পেট পুরে খাবে বাঙালি। আর তা যদি নদীর তাজা মাছ হয়, তবে তো কথাই নেই। ভোজনপ্রিয় বাঙালি সব ধরনের মাছই খেয়ে থাকে। এর মধ্যে রুই, কাতলা, ইলিশ, চিংড়ি থাকে পছন্দের তালিকায়। কাতলা মাছের নানা পদ রান্না করে বাঙালিরা। যারা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তাদের কষা কাতলা মাছের রান্না বেশ প্রিয়। কিন্তু ঝাল খাবারে আপত্তি থাকলে কাতলা মাছের টক, ঝাল স্বাদের রেসিপিটি চেখে দেখতে পারেন। বানিয়ে নিতে পারেন দইয়ে কাতলা ভাপা রেসিপিটি।
মাছপ্রিয় বাঙালির জন্য দইয়ে কাতলা ভাপা রেসিপিটি জানাব এই আয়োজনে।
দইয়ে কাতলা ভাপা রান্নায় যা যা লাগবে
- কাতলা মাছ
- টক দই – আধা কাপ।
- নারিকেল কোরানো – আধা কাপ ।
- রসুন- ৫ কোয়া।
- আদাকুচি – ২ চা-চামচ।
- সাদা তিল – ২ চা-চামচ।
- লবণ স্বাদমতো
- হলুদ- ১ চা-চামচ
- চিনি – স্বাদমতো।
- শর্ষের তেল – ৪ চামচ।
- কাঁচা মরিচ – ৭টি।
দইয়ে কাতলা ভাপা রান্না হবে যেভাবে
প্রথমে কাতলা মাছ টুকরো করে ভালো করে ধুয়ে নিন। এদিকে একটি পাত্রে ৩ চামচ টক দই, সামান্য লবণ ও হলুদ নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেটানো হলে মাছের টুকরোগুলোকে মিশ্রণে দিয়ে দিন। ভালোভাবে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন। অন্তত ১০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।
এবার নারিকেল কোরা, কাঁচা মরিচ, আদা ও রসুন একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে টক দই দিয়ে আবারও ব্লেন্ড করুন। মিশ্রণটি ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে, যাতে সব কটি উপকরণ মিশে যায়। এবার এই মসলা মাছ টুকরোগুলো আবারও মাখিয় নিন। ৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন।
এবার মাছ ভাপার পালা। চুলায় কড়াই বসিয়ে এতে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে এই পানিতে একটি স্টেন্ড বসিয়ে দিন। মসলা মাখা মাছগুলো একটি স্টিলের বক্সে ভরে এর মধ্যে এক চামচ তেল ও দুটি কাঁচা মরিচ দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। এবার বক্সটি গরম পানিতে রাখা স্টেন্ডে বসিয়ে নিন। কড়াইয়ের ওপরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট ভাপে রাখুন। প্রয়োজনে কড়াইয়ে আরও পানি দিয়ে নিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন। এরপর বক্সটি নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল দইয়ে কাতলা ভাপা। কাচের ছড়ানো পাত্রে পরিবেশন করুন। গরম ভাত বা পোলাওর সঙ্গে দারুণ লাগবে খেতে।