মেকআপ সুন্দরী তো অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু ন্যাচারাল সুন্দরী খুঁজে পাওয়া দায়। ন্যাচারাল সৌন্দর্য বলতে সাধারণত যার ত্বক সুন্দর তাকেই বোঝায়। ত্বক সুন্দর হলে হালকা মেকআপেও সৌন্দর্য ফুটে উঠে। কারণ নরম কোমল ত্বকের স্নিগ্ধতাই মুগ্ধ করে সবাইকে।
সুন্দর ত্বক সবারই চাওয়া থাকে। সুন্দর ত্বক পেতে কত রূপচর্চা, কতো থেরাপি নেওয়া হয়। কিন্তু ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি হারালে বাইরে থেকে যতই চেষ্টা করা হোক সবই বৃথা। বরং ত্বকে পুষ্টি বা ভিটামিনের অভাবে শুষ্ক হয়ে যায় এবং উজ্জ্বলতাও হারায়। তাই ত্বকের জন্য় প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিটামিনের। ভিটামিনের অভাব থাকলে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোও প্রকট হয়ে ওঠে। তাই শরীর তথা ত্বকের জন্য়ও ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সুন্দর ত্বকের জন্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। যা ত্বকের ব্রণ ও দাগের সমস্যা কমায়, রিঙ্কেলস ও ফাইন লাইনস দূর করে। তাই ভিটামিন ত্বকের জন্য় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব ধরণের সমস্যার জন্য় সব ধরনের ভিটামিন কাজ করে না। ত্বকের সদস্যা বা ধরন অনুযায়ী ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়। তবেই সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়।
ত্বকের কোন ধরণের সমস্যার জন্য় কোন ভিটামিন ব্যবহার করবেন তা জানাব আজকের আয়োজনে_
ভিটামিন এ
যারা ব্রণের সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না তারা ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বা প্রসাধনীর দিকে ঝুকতে পারেন। ব্রণের জন্য ভিটামিন এ রেটিনল নামেও পরিচিত। ভিটামিন এ ত্বকে সিবামের উৎপাদন কমায়। তাই মুখের ব্রণের প্রকোপ কমে যায়। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা অবশ্যই ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বেশি খাবেন। প্রসাধানী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ভিটামিন এ আছে কিনা দেখে নিন।
ভিটামিন সি
বয়স বাড়লেই ত্বকে রিঙ্কেলস ও ফাইন লাইনস দেখা দেয়। ভিটামিন সি ব্যবহার করলে মুখের বলিরেখা বা রিঙ্কেলসে ধীরগতি আসবে বা কমে যাবে। ত্বকের নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে এটি ত্বককে রক্ষাও করবে।
ভিটামিন ই
আপনার ত্বক শুষ্ক? তবে ভিটামিন ই থাকছে আপনার জন্যে। ভিটামিন ই ত্বকের শুষ্কতা নিমিষেই দূর করবে। আর শুষ্কতা দূর হলে ত্বকের নমনীয়তাও ফিরে আসে। ভিটামিন ই-তে হাইড্রেটিং এবং অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য থাকে। যা শুষ্ক ত্বকের জন্য কার্যকরী। মুখের দাগ কমাতেও এই ভিটামিন আপনার সহায়ক হবে। তাই রূপচর্চা হোক কিংবা খাবার ভিটামিন ই অবশ্যই রাখবেন। বাজারে পাওয়া ভিটামিন ই ক্যাপসুলও ত্বকের নমনীয়তা ফিরিয়ে আনবে।
ভিটামিন ডি
ত্বকের একজিমার সমস্যা রয়েছে? ভিটামিন ডি এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। এটি ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলে। ত্বককে সূর্যের আলো থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এই ভিটামিনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়। ফলে বার্ধক্যও দূর হয়।
ভিটামিন কে
চোখের নিচে কালো দাগ সব বয়সীদেরই একটি সাধারণ সমস্যা। অতিরিক্ত চাপ বা অনিয়মিত ঘুম চোখের কালো দাগের জন্য় দায়ী। এক্ষেত্রে ভিটামিন কে হতে পারে আপনার সহায়ক। ভিটামিন কে যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের কালো দাগ মিশিয়ে যাবে ধীরে ধীরে।