চুল সৌন্দর্যের মূল অলংকার। মাথায় গোছা চুল থাকলেই সৌন্দর্য্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে গোছা চুলে প্রাণও থাকতে হয়। রুক্ষ চুল গোছা হলেও ভালো দেখায় না। বরং এতে সব সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যায়। রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরাতে যুগ যুগ ধরে নানী-দাদীরা তেল ব্যবহার করে আসছে। তবে যুগ পাল্টেছে। চুলের যত্নে এখন পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন প্রসাধনী। কন্ডিশনার, প্রোটিন ক্রিম, সিরামসহ নানা প্রসাধনী এখন পাওয়া যাচ্ছে বাজারজুড়ে। চুলের ধরণ আর পছন্দ অনুযায়ী একেক জন একেক ধরণের প্রসাধনী বেছে নিচ্ছে। তবে তেল না সিরাম কোনটি বেশি উপকার দিচ্ছে ভেবে দেখেছেন?
তেল ও সিরাম দুটোই চুলের দেখভাল করে। তবে তেলের ব্যবহার হচ্ছে প্রাচীনকাল থেকেই। অন্যদিকে সিরাম সেই তুলনায় নতুন। তেল ও সিরামের মধ্যে চুলের যত্নে উপকারী প্রসাধনী কোনটি তা দেখে নেওয়া যাক_
তেল দিয়ে চুলের যত্ন
চুলের যত্নে খাঁটি নারকেল তেলের ব্যবহার হচ্ছে শত শত বছর ধরেই। বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর থাকে নারকেল তেল। যা চুলের নানা সমস্যার সমাধান দেয়। চুলের রুক্ষতা দূর, চুলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করা আর চুলকে বাড়িয়ে তোলার দায়িত্ব নেয় নারকেল তেল। শুধু নারকেল তেলেই ভরসা না করে অলিভ অয়েল বা সরষের তেলও চুলে ব্যবহার করা যায়। যা চুলের সঠিক গঠনে উপকারী। তাছাড়া জোজোবা ও কাঠবাদামের তেলও চুলের যত্নে উপকারী। চুলের ত্বকে অতিরিক্ত খুশকি থেকে মুক্তি দিবে এই তেল।
সিরামে চুলের যত্ন
চুল ভালোভাবে ধোয়ার পর সিরাম ব্যবহার করা হয়। ভেজা চুলেই সিরাম লাগিয়ে নিলে শুকানোর পর তা ঝরঝরে দেখায়। সিরাম চুলের বাইরে এক ধরনের আস্তরণ তৈরি করে। এতে বাইরের রোদ, দূষণ ও ধুলোবালি থেকে চুল রক্ষা পায়। এছাড়াও চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে সিরাম। চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে, চুল ভেঙে পড়ার সমস্যা কমাতে এবং চুলে জট না লেগে ঝরঝরে রাখতে সিরাম বেশ কার্যকর।
তেল না সিরাম কোনটি উপকারী_
চুলের যত্নে তেল ও সিরাম দুটোই উপকারী। তেল চুল ধোয়ার আগে ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল ধোয়ার পর মসৃনতা, উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে। অন্যদিকে চুল ধোয়ার পরের যত্নে সিরাম ব্যবহার করলে বাইরের ধুলাবালি, রোদ থেকে রক্ষা করে চুলের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখবে। তাই স্বাস্থ্যকর চুল পেতে তেল ও সিরাম দুটোই ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই খাটি তেল হতে হবে আর সিরাম হতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের।