বাড়িতে বিশেষ দিনগুলোতে ভুরিভোজের আয়োজন থাকে। উৎসব, পালা-পর্বনের আয়োজনে যে খাবার থাকে, তাতে কোলেস্টরালের পরিমাণও থাকে বেশি। তখন খাদ্যরসিক মানুষগুলো পড়ে যান বড়ই বিপাকে। পুরো শরীরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোট্ট জিহ্বারই জয় হয়ে যায়। ফলস্বরূপ বেড়ে যায় মেদ আর খাবারের পরের অস্বস্তি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার আগে বা পরে কিছু খাবার খেলেই কমবে এধরনের অস্বস্তি।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ভুরিভোজের পর কোন ধরনের খাবার আপনার অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেবে-
কুসুম গরম পানি
যখনই মনে হবে তেল-চর্বি জাতীয় খাবার একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছেন, খাওয়ার ৩০-৩৫ মিনিট পর থেকে কুসুম গরম পানি পান করতে শুরু করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুসুম গরম পানি খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এতে অপকারী উপাদানগুলোও ভেঙে শরীর থেকে বের করে দেয়। এমনিতে সবসময়ই হালকা গরম পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন গবেষকরা।
লেবু পানি
তেল-চর্বি বেশি খাওয়ার পর যদি হাঁসফাস লাগে তবে লেবু পানি হতে পারে আদর্শ। খাবারের তেলজাতীয় উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দিতেও এর জুড়ি নেই।
হাঁটুন
কোলেস্টেরল কমাতে হাঁটার বিকল্প নেই। তাই যখনই মনে হবে ‘আজ একটু বেশিই হয়ে গেছে’ চটজলদি হেঁটে আসুন মিনিট বিশেকের জন্য। পাকস্থলীর কার্যকারিতাও বাড়বে এতে।
প্রোবায়োটিক
শরীরের ওপর চাপ পড়ে এমন খাবার একগাদা খেয়ে ফেললে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার যেমন টকদই খেতে দোষ নেই। উল্টো এটি আমাদের পাকস্থলী ও হজম ব্যবস্থাকে বাগে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে ভারী খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট পর দই খেলে উপকার মিলবে বেশি।
ফল
খাওয়ার পর ফল খাওয়াও ভালো। তবে তা যেন হয় কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর। এতে হজমপ্রক্রিয়ার উপকারের পাশাপাশি দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
আদা
প্রতিবার মাংস খাওয়ার পর পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
টক ফল
প্রতিদিন অবশ্যই মধ্য সকাল বা বিকেলের নাশতায় টক–জাতীয় মৌসুমি ফল রাখতে হবে, যা রোগপ্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
মসলা চা
দিনে দু–একবার আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, এলাচি ইত্যাদি মসলা দিয়ে চা যেমন ক্লান্তিভাব কাটাতে সাহায্য করবে, তেমনি শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
পরের বেলা মেপে খান
এক বেলা ইচ্ছে মতো খেয়ে ফেলেছেন, দোষ নেই তাতে। তবে পরের বেলা অবশ্যই জিহ্বায় লাগাম দিন। এক্ষেত্রে স্যুপ বা সহজপাচ্য খাবারই রাখুন তালিকায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া