জোজোবা বীজ থেকেই তৈরি হয় জোজোবা তেল। সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই। ত্বক হোক কিংবা এবং চুল যত্ন নিতে পারেন জোজোবা তেল দিয়েই। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন প্রসাধনীতেও এই তেলের ব্যবহার হয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখে। চুলের চাকচিক্যও ফিরিয়ে আনে।শুধু তাই নয়, ঠোটের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে লিপ বাম হিসেবেও বেশ কাজ করে জোজোবা অয়েল।
চুলের যত্নে জোজোবা তেল কীভাবে কাজ করে চলুন জেনে নেই_
জোজোবা তেল চুলের পুষ্টি জোগায়
জোজোবা তেলে পামিটিক এবং স্টিয়ারিক যৌগ রয়েছে। যা চুলের পুষ্টি যোগায়। মাথার ত্বকে জোজোবা তেল মাসাজ করুন। অতিরিক্ত হাইড্রেশন পাওয়া যায়। যা খুশকি বা চুলকানি রোধ করে চুলের পুষ্টি জোগায়।
চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে জোজোবা তেল
জোজোবা তেলের অণুগুলো চুলকে হাইড্রেট করে। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। একদিন পরপর চুল এবং মাথার ত্বকে জোজোবা তেল লাগিয়ে নিন। চুল নরম ও ঝলমলে হবে।
পাকা চুল রোধে জোজোবা তেল
কপারের ঘাটতির কারণে অল্প বয়সেরই চুল পেকে যায়। জোজোবা তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল পাকা প্রক্রিয়াটি ধীর হয়। কারণ জোজোবা তেল তামা, ভিটামিন সি ও ই এর মতো অন্যান্য উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সাধারণ তেলের সঙ্গে মিশিয়েও এটি ব্যবহার করতে পারেন মাথার ত্বকে।
ত্বকের সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে যেভাবে কাজ করে জোজোবা তেল, চলুন তা জেনে নেই_
ত্বকের ভিটামিনের জোগান দেয় জোজোবা তেল
জোজোবা তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ভিটামিন এ, ই এবং ওমেগা ৬ পাওয়া যায় এই তেলে। ভিটামিন ই-র প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ত্বককে প্রতিরক্ষা করে। এছাড়াও জোজোবা তেল হিউমেক্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
রুক্ষতা দূর করবে জোজোবা তেল
শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা দূর করতেও কার্যকরী জোজোবা তেল। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ত্বকের রঙ ধরে রাখে। এটা একটি হিউমেক্ট্যান্ট। তাই ত্বকের ওপর প্রতিরক্ষামূলক আস্তর তৈরি করে।
ব্রণ কমাবে জোজোবা তেল
তৈলাক্ত ত্বকে অনেক ব্রণ হয়। যা দূর করবে জোজোবা তেল। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে ব্রণ হয়। জোজোবা তেলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করে। ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দারুণ কাজ করে জোজোবা তেল।
ত্বকের বয়স ধরে রাখে জোজোবা তেল
জোজোবা তেলে রয়েছে হাইড্রেটিং ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোকে দূরে রাখে। এমনকি চর্মরোগ এবং ক্ষত দূর করতে কার্যকরী জোজোবা তেল।