চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার হয় সেই যুগ যুগ ধরেই। মেথির উপকারিতার কথাও কম-বেশি সবারই জানা। খুশকি দূর করাসহ চুলের নানা সমস্যার সমাধান দেয় মেথির তেল। মেথিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। যা খুশকি দূর করতে সক্ষম। এমনকি চুলকে মজবুত ও লম্বা করতেও মেথির জুড়ি নেই। এটি চুলের প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস দেয়। নিয়মিত মেথির তেল ব্যবহারে প্রাণ ফিরে পায় চুল। চুলের হারিয়ে যাওয়া চাকচিক্য পুনরুদ্ধার হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, চুল দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ, কে, সি, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম দরকার হয়। যা মেথি থেকে সহজেই পাওয়া যায়। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং ঘনত্ব বাড়াবে। তাছাড়া অকালপক্কতাও দূর করবে মেথি।
মেথির তেল যেভাবে বানাবেন
চুলের যত্নে মেথির তেল বানিয়ে রাখুন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করুণ। মেথির তেল বানাতে প্রথমে কাঁচের জারে আধা কাপ আস্ত মেথির দানা নিয়ে নিন। আবার ব্লেন্ডারে মেথির দানা মিহি গুঁড়া করে নিতে পারেন। এবারে কাঁচের জারে মেথি দানার সঙ্গে যেকোন তেল মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। নারিকেল তেল, অলিভ ওয়েল, জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে নারকেল তেল হলেই ভালো হবে। মেথি দানা ও তেল একসঙ্গে মিশিয়ে জারের মুখ আটকে দিন।
এবার জারটি পরিষ্কার স্থানে রাখুন। যেখানে সূর্যের আলো নেই। ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ তেলটি এভাবেই রেখে দিন। যতদিন যাবে মেথির দানার নির্যাস তেলের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যাবে। তেলের রং গাঢ় হবে। ৬ সপ্তাহ পরে তেলটি ছাঁকনি দিয়ে ছেকে মেথি দানা আলাদা করে নিন। এবার তেলটি পরিষ্কার প্লাস্টিকের বোতলে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
এছাড়াও মেথির তেল বানানোর আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে। এক কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মেথি চুলায় দিয়ে ফুটিয়ে নিন। রং গাঢ় হয়ে গেলে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিন। তেলটি ঠাণ্ডা হলে বোতলে ঢেলে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মেথির তেল।
কতদিন ব্যবহার করবেন মেথির তেল
মেথির তেল সংরক্ষণের সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। তেলের ভেতর ফেনার মতো দেখা গেলে বুঝবেন তা ব্যবহারের অনুপযোগী। তখন নতুন করে আবারও বানিয়ে নিতে হবে। একমাস নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে উপকার পাবেন। চুলের বৃদ্ধিসহ উজ্জ্বলতা ফিরে পেয়ে নিজেই মুগ্ধ হবেন।