চুল নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। চুলের রুক্ষতা, চুল পড়া, চুলের বৃদ্ধি না হওয়া, চুলে পাক ধরা নানা সমস্যাই ঘিরে ধরে প্রতিনিয়ত। ধুলাবালু, কেমিক্যালের ব্যবহার কিংবা পানিতে অত্যধিক আয়রনসহ নানা কারণেই চুলের বেহাল অবস্থা হতে পারে।
চুলের প্রতিনিয়ত যত্ন প্রয়োজন। চুলের ঘরোয়া প্রসাধনী ব্যবহার করে যত্ন নেওয়া যায়। যত্ন নিলে চুল পাকা রোধ করাও সহজ হয়। কিন্তু কীভাবে? চুল পাকা রোধে ভরসা করতে পারেন কারিপাতার ওপরে। কারিপাতার মধ্যে থাকা প্রোটিন ও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা চুল পড়াও দূর করে। তা ছাড়া চুলের গোড়ায় আর্দ্রতা বজায় রাখতে কারিপাতা বেশ কার্যকর। এই পাতা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। চুলের পাক রোধ কারিপাতা যেভাবে ব্যবহার করা যাবে চলুন তার কিছু টিপস জেনে নিই।
কারিপাতায় তৈরি চা
নিয়মিত কারিপাতার চা খেতে পারেন। এটি চুলের জন্য উপকারী। কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে পানিতে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার নামিয়ে এর মধ্যে লেবুর রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। কারিপাতার এই চা টানা এক সপ্তাহ পান করুন। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায়। পেট পরিষ্কার রাখে। ফলে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো হয়। চুল পাকার সমাধানও পাওয়া যায়।
কারিপাতায় হেয়ার টনিক
হেয়ার টনিকে কারিপাতা ব্যবহার করুন। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পাতাগুলো কালচে হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে ফোটান। এরপর ঠান্ডা করে নিন। এই মিশ্রণটি ভালো করে ছেঁকে কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখুন। প্রতিদিন কিংবা এক দিন পরপর এই তেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেখে নিন। ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে দিন। রাতে ঘুমের আগেও দিয়ে নিতে পারেন। সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিবেন। কিংবা এক ঘণ্টা রেখেও শ্যাম্পু করে নিতে পারবেন। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং অকালপক্বতা দূর হবে।
কারিপাতায় তৈরি হেয়ার মাস্ক
কারিপাতা দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। কারিপাতা বেটে এর সঙ্গে টক দই মিশিয়ে নিন। চাইলে পেঁয়াজের রসও ব্যবহার করতে পারেন এই হেয়ার মাস্কে। এটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২৫ মিনিট। শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে এক দিন লাগিয়ে নিন। অকালপক্বতা দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের ঘনত্বও বাড়বে।