চিংড়ি মাছ সবার প্রিয়। বাংলা কিংবা চাইনিজ যেকোনো রান্নাতেই চিংড়ি মাছ অতুলনীয়। তবে রান্নার পদ্ধতির উপর স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে। মাছ কিংবা মাংস রান্নার ভিন্ন পদ্ধতি থাকে। আবার একেক মাছ রান্নার পদ্ধতিও আলাদা। সেই সুবাদে চিংড়ি মাছ রান্নারও কিছু কৌশল রয়েছে। সঠিক কৌশলে রান্না না হলেই বিপদ। চিংড়ির স্বাদ ও ঘ্রাণ দুটোই নষ্ট হয়।
শুধু রান্না নয়, চিংড়ি মাছ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে কৌশল। আমরা অনেকেই সেই কৌশল জানি না এবং প্রায়ই ভুল করে থাকি। এতে তেল মশলায় রান্না তো হয় কিন্তু স্বাদ পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তাই চিংড়ি রান্নার সময় আমরা যেসব ভুল করে থাকি তা জানা প্রয়োজন। আজকের আয়োজনে আমরা সেই ভুলগুলো কথা জেনে নিব_
সঠিক চিংড়ি বেছে না নেওয়া
বাজারে হরেক রকমের চিংড়ি পাওয়া যায়। একেক চিংড়ির স্বাদ একেক রকমের। তবে যেই চিংড়িই কেনা হোক না কেন তা টাটকা কিনা দেখে নিতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী চিংড়ি ফ্রিজিং করে রাখে। এতে মাছের টাটকা স্বাদ চলে যায়। ব্যবসায়ী চিংড়িকে রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করে। এতে স্বাদ নষ্ট হয়। কারণ এটি বাজে গন্ধ থেকে যায় সেই চিংড়িতে। তাই রান্নার জন্য় বাজার থেকে টাটকা চিংড়ি কিনুন।
খোলস ছাড়া রান্না
চিংড়ি মাছ অনেকেই পুরো খোলস ফেলে রান্না করে। এটা ঠিক নয়। খোলসসহ চিংড়ি রান্না করলে এর ভেতরের অংশ নরম ও সুস্বাদু থাকে। তাছাড়া চিংড়ি মাছটি ওভারকুক হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না। চাইনিজ রান্নায় খোলস বাদ দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ওভারকুক করা যাবে না। বাংলা খাবার কিংবা গ্রিল করা হলে খোলসসহ চিংড়ি রান্না করাই ভালো।
শিরা বাদ না দেওয়া
অনেকে চিংড়ির শিরা বাদ দিতে ভুলে যায়। চিংড়ি কাটার সময় শিরা বাদ দিয়ে নিতে হবে। ছুরি দিয়ে সহজে শিরা বাদ দেওয়া যায়। চিংড়ির পিঠে হালকা কেটেই শিরা বের করে নেওয়া যায়। তাছাড়া বাজার থেকে কেনার সময় দোকান থেকে চিংড়ির শিরা বের করে নেওয়া যায়।
চিংড়ির ডিফ্রস্ট
চিংড়ির মাছ সঠিকভাবে ডিফ্রস্ট করতে হবে। সারা রাত ফ্রিজে একটি পাত্রে রেখে দিলে চিংড়ি ডিফ্রষ্ট হয়ে যাবে। ঠান্ডা পানির একটি বাটিতেও চিংড়ি রেখে দিতে পারে।
চিংড়ি বেশি ভাজা
চিংড়ি মাছ বেশি ভাজলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। চিংড়ির পুরু অংশটি গোলাপি হলে ও অস্বচ্ছ দেখালে বুঝতে হবে রান্না হয়ে গেছে। কোনোভাবেই চিংড়ি অনেকক্ষণ রান্না করা যাবে না।
রান্না শেষ হওয়ার সঠিক সময়
চিংড়ি রান্না শেষ হয়েছে কিনা বোঝার সহজ উপায় রয়েছে। সঠিক সময় বুঝতে খেয়াল রাখতে হবে চিংড়ি মাছটি যদি C আকৃতির হয় তখনই নামিয়ে নিতে হবে। আর চিংড়ি যদি O আকৃতি বা বেশি গোলাকার হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে অতিরিক্ত রান্না হয়ে গেছে। তখনই স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রান্নার সময় চিংড়ির আকৃতির দিকে খেয়াল রাখুন।