সঙ্গীকে নিয়ে সুখী-অসুখীর হিসাবটা একটু জটিল। সমঝোতা, বিশ্বাসযোগ্য হওয়া সবকিছুতেই খাপে খাপে মিলতে হয়। এরপরই সুখীর সমীকরণ মিলে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম সুন্দর ছেলেদের সঙ্গেই নারী সঙ্গীরা বেশি সুখী। মানে সফল সম্পর্কে বেশিরভাগ সময়ই পুরুষের চেয়ে নারী সঙ্গী বেশি সুন্দরী হয়ে থাকেন।
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। গবেষণাটি ১১৩ জন নববিবাহিত দম্পতির ওপর পরিচালনা করা হয়। জরিপে স্বামী-স্ত্রীকে তাদের চেহারা ও স্মার্টনেসের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, স্ত্রীর চেয়ে সৌন্দর্যে পিছিয়ে থাকা স্বামীরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বেশি যত্নবান। এক্ষেত্রে উপহার দেওয়া, ঘরের কাজ করা, নিজেকে নতুন করে উপস্থাপন করায় তারা বেশি আগ্রহী। নিত্যনতুন ধরণ বের করতে তাদের প্রচেষ্টা বেশি থাকে।
এছাড়াও কম আকর্ষণীয় দেখতে স্বামীরা সম্পর্কে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। সেই সঙ্গে তারা স্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন এবং স্ত্রীকে খুশি করতেও কার্পণ্য থাকে না।
অন্যদিকে গবেষণায় দেখা যায়, দম্পতির মধ্যে পুরুষ সঙ্গী বেশি আকর্ষণীয় হলে হীনমন্যতায় ভোগেন নারী সঙ্গী। তাদের সমঝোতায় খাদ থেকে যায়। পুরুষ সঙ্গীরাও নিজেদের একটু বেশি প্রাধান্য দেন। যা তাদের সম্পর্কের মধ্যে নানাভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে।
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক তানিয়া রেনোল্ডস গবেষণা শেষে বলেন, “আকর্ষণীয় চেহারার স্বামীর তুলনায় স্ত্রীরা কম আকর্ষণী হলে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে, যা প্রমাণিত হয়েছে।”