অফিসে প্রচন্ড কাজের চাপের মধ্যে আছেন তবুও ক্রমাগত হাই তুলছেন, এমনটা কি হচ্ছে আপনার সঙ্গে? হাই আসলেই বিরক্তিকর একটা বিষয়। অনেকেই বলে থাকেন ঘুম কম হলে হাই উঠতে থাকে। কিন্তু এমনও দেখা গেছে সারা রাত ঘুমানোর পরও সকালে অফিসে গিয়ে হাই উঠছে। কিছুতেই যেনো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না এই অনাকাঙ্ক্ষিত হাই তোলা থেকে।
মূলত ঘুমের ঘাটতি হলে, ক্লান্তি- অবসাদ গ্রাস করলে অথবা কাজের মধ্যে কোনও উৎসাহ খুঁজে না পেলে স্বাভাবিকভাবে হাই উঠতে পারে। কিন্তু অনেকেই আবার একটি ভুল ধারণাকে বিশ্বাস করে যে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো ও অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়ার জন্য বার বার হাই তোলা হয়। তবে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, হাই ওঠার আগে ও পরে রক্তে অক্সেজেনের পরিমাণ ঠিকই থাকে।
তাছাড়া কিছু স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করলে সহজেই মুক্তি মিলবে এই হাই তোলা থেকে। চলুন জেনে নেয়া যাক কি সেই স্বাভাবিক নিয়ম-
প্রাণায়াম করুন
অনেক সময় শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে। তার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। এ সময় শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগের মাঝখানে কিছুটা সময় বাতাস বুকে আটকে রাখুন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে যাবে।
ঠাণ্ডা পানি খান
যখনই হাই উঠবে তখন ঠাণ্ডা পানি অথবা কোল্ড ড্রিংস খান। সোডা এবং কার্বোনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে সক্ষম।
ঠান্ডা খাবার
ঠান্ডা খাবারও খুবই কার্যকরী। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার, ফল ইত্যাদি। এছাড়া আইসক্রিমও খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তিকে দূর করতে সক্ষম হয়।
কর্মসূচী এক রাখুন
প্রতিদিনের কাজকর্মের একটি তালিকা করে নিন। যার মধ্যে নির্দিষ্টি সময় খাওয়া ও ঘুমাতে যাবেন, তাহলে শরীর থেকে ক্লান্তভাব দূর হবে। ফলে অযথা হাই তোলার সমস্যা আর থাকবে না।
হাঁটা-চলা করুন
একভাবে বসে কাজ করার ফলে ক্লান্তি চলে আসতে পারে। যার ফলে হাই ওঠে। তাই টানা অনেকক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিন।
নিয়মিত ধ্যান বা যোগব্যায়াম করুন
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের বাড়তি টক্সিন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ক্লান্তির প্রধান কারণ। এর জন্য অন্ততপক্ষে দিনে ২০ মিনিট যোগা করা আবশ্যক। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সবুজ শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি খান।
সূত্র: জি নিউজ