ঈদ তো দরজায় কড়া নাড়ছে। মেয়েদের পোশাক, অ্যাক্সাসরিজ, জুতা কেনাকাটা এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে। সঙ্গে ঘরও সাজিয়েছেন অনেকে। ঈদ উপলক্ষে সবকিছুতেই থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। ঈদের প্রস্তুতিতে সব আয়োজন যখন শেষ, তখন নিজের মেকআপ কেমন হবে তা ভেবে দেখেছেন? পোশাকের সঙ্গে এবার কোন সাজে সবার নজর কাড়বেন আপনি, তা নিয়ে ভেবেছেন?
ঈদের দিন বা তার পরের দিনগুলোতে ঈদ আড্ডা আর দাওয়াতে মেতে উঠে সবাই। সেখানে ঈদ লুকে কেমন হবে আপনার সাজ। সেই পার্টিতে নিজেকে পরিপাটি দেখাতে সঠিক ও সুন্দর করে মেকআপ করুন। ঈদে মার্জিত লুকে নিজেকে সাজাতে কিছু মেকআপ টিপস প্রয়োজন। ঈদে চটপট মেকআপের এই টিপসগুলো থাকছে আপনার জন্য _
ক্লিনজার
সঠিক মেকআপ তখনই আপনার মুখে ভালো করে ফুটে উঠবে যখন মুখ পরিষ্কার থাকবে। আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে একটি ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন মেকআপ করার আগে। ক্লিনজার হতে হবে মাইল্ড। কারণ ক্লিনজার স্কিনের ভেতর থেকে ময়লা যেমন টেনে বের করে, তেমনই ত্বকের ওপরের ডেড সেল তুলে দেয়।
ময়েশ্চারাইজার
স্কিন ভালো পরিষ্কার করার পর মুখের দরকার একটি সুরক্ষা বলয়। এক্ষেত্রে ভালো ময়েশ্চারাইজার যেমন একদিকে স্কিনকে আর্দ্রতা দেবে, তেমনই আবার মেকআপকে সরাসরি স্কিনের সংস্পর্শে আসতে দেবে না। এতে স্কিন যেমন ভালো থাকবে তেমনি মেকআপও বসবে ভালো।
সানস্ক্রিন
সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করা হয় আমরা সবাই জানি। দিনের বেলা মেকআপ করে বেরোতে হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা মাস্ট। তাহলেই মেকআপ স্কিনে অনেক ক্ষণ থাকে।
প্রাইমার
এবার মূল মেকআপে সময়। ফাউন্ডেশনের আগেও কিন্তু প্রাইমার ব্যবহার দরকার। এটি মুখে মেকআপ ব্যবহার করার আগে মজবুত ফাউন্ডেশন তৈরি করে। এটি ভালো করে ব্যবহার করলে অনেকক্ষণ মেকআপ মুখে থাকে এবং ঠিক থাকে। মুখে মেকআপ ধরে রাখতে সাহায্য করে প্রাইমার।
ফাউন্ডেশন
প্রথমে একটি ভালো ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী। ফাউন্ডেশন যেমন একদিকে স্কিন উজ্জ্বল করে তোলে, তেমনই মুখের দাগ, ছোপ ইত্যাদি ঢেকে দিয়ে মুখ করে তোলে নিটোল।
কনসিলর
ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে মুখ ব্রাইট তো করলেন। মুখের দাগ কিছু অংশে তো ঢেকে গেল। কিন্তু এমন কিছু দাগ আছে যা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেও লুকানো যায় না। এই দাগের জন্য আছে কনসিলর। ব্রণের দাগ বা ব্ল্যাকহেডস সহজে ফাউন্ডেশন দিয়ে ঢাকা পড়ে না। কনসিলর এই ক্ষেত্রে অনবদ্য কাজ দেয়। আপনি একদম হয়ে ওঠেন পারফেক্ট।
আই শ্যাডো
মুখের মেকআপ শেষ, এবার শুরু চোখের। চোখ সুন্দর করে না তুললে পুরো সাজটাই মাটি। তাহলে চোখকে সাজিয়ে তুলতে আগে আই শ্যাডো ব্যবহার করুন। আপনার স্কিন কমপ্লেকশন অনুযায়ী আই শ্যাডো ব্যবহার করুন। আর দিনে মেকআপ করলে হাল্কা আই শ্যাডো এবং রাতে মেকআপ করলে ডিপ আই শ্যাডো ব্যবহার করাই ভালো।
আই লাইনার
চোখে শেড দেওয়ার পর এবার দরকার চোখ প্রমিনেন্ট করে তোলা। তাই দরকার আই লাইনার। আই লাইনার যেহেতু চোখের সরাসরি সংস্পর্শে আসছে তাই ভালো ব্র্যান্ডের আইলাইনার ব্যবহার করাই ভালো। এখন আবার কালো ছাড়া অন্য রঙের আই লাইনারও পাওয়া যায়। তাই আপনার পছন্দ আর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে আপনি কিনতে পারেন আই লাইনার।
মাস্কারা
চোখের পাতা একটু বড়ো না দেখালে কি আর চোখ সুন্দর হল! চোখের পাতা সুন্দর, কালো আর বড় দেখানোর জন্য ব্যবহার করুন কালো মাস্কারা। দিনের বেলা বাইরে যাওয়ার জন্য আপনি হাল্কা কালারের বা ট্রান্সপারেন্ট মাস্কারাও ব্যবহার করতে পারেন।
কাজল
কাজল ছাড়া চোখ! ভাবাই যায় না। আই লাইনার, মাস্কারা এই সবের পরেও কাজল একটু দরকার হয়ই। এতে চোখের মধ্যে গভীরতা আসে, চোখ হয়ে ওঠে অর্থবহ। তাই চোখে কাজল ব্যবহার করুন। এতে চোখের সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যায়। কাজল ব্যবহার করলেই চোখের মেকআপ ফিনিশ।
লিপ লাইনার
ঠোঁটই তো আপনাকে করে তুলবে মোহময়ী। তাই এবার ঠোঁটের মেকআপ শুরু করুন। ঠোঁট প্রথমে একে নিন লিপ লাইনার দিয়ে। এরপর লিপস্টিক ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগে। ঠোঁট অনেক বেশি নিটোল লাগে।
লিপস্টিক
লিপস্টিক আপনার ঠোঁট সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলে। এর ওপর দিয়ে লিপ গ্লস ব্যবহার করলেই আপনার ঠোঁটের মেকআপ রেডি। তবে লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে আপনার গায়ের রঙ, পোশাক আর কখন ব্যবহার করছেন সেই সব ভেবে।
ব্লাশার
এবার সবশেষে আপনার গাল খানিক হাইলাইটেড করার পালা। এর জন্য ব্যবহার করুন পছন্দের ব্লাশার। এবার আপনি রেডি। বেরিয়ে পড়ুন ঈদ আনন্দে।