হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। ঢাকডোল নিয়ে প্রস্তুত ভক্তরা। কারিগররা মাটির আদলে দেবীর পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছেন। নানা রঙের বাহারে রংতুলি দিয়ে সাজিয়েছেন প্রতিমাকে। অপরূপে সাজিয়েছে দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশকে।
প্রতিবছর অশুভ শক্তির বিনাশকল্পে দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে সব অন্যায়-অবিচার, গ্লানি ও বৈষম্য দূর করার জন্যই আয়োজন করা হয় শারদীয় দুর্গাপূজার।
শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মত্যলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরু হয়েছে পূজার অনুষ্ঠানিকতা। রং-তুলি আর শাড়ি-গয়নার সাজে অপরূপ রূপ নিয়েছে প্রতিটি প্রতিমা।
কারিগরদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিমাগুলো। ফুটে উঠেছে প্রতিটি প্রতিমার নিখুঁত অবয়ব। কারিগররা প্রতিমার প্রতিকৃতি তৈরি করেন মাটি, কাঠ, খড়, বাঁশ, লোহা দিয়ে। এরপরই রঙের আঁচড়ে প্রতিমার প্রতিকৃতি রাঙিয়ে তুলেন। প্রতিমার প্রতিটি অঙ্গ যেন স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। তাতে শাড়ি জড়িয়ে, গয়না পরিয়ে দেবীকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়। গোলাপি, লাল কিংবা সবুজ শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে ব্লাউজ পরানো থাকে দেবীকে। গা ভর্তি গয়না, মাথায় মুকুট এবং চুলে ফুল গোঁজা, আর কপালে আঁকা থাকে ত্রিনয়ন।
মাসখানেকের প্রস্তুতিতে প্রতিমাগুলো তৈরি করেন কারিগররা। রাত-দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর পূর্ণাঙ্গভাবে দাঁড় করানো হয় প্রতিমাগুলোকে। ছোট-বড় আকারের হাজারো প্রতিমা প্রস্তুত হয়। যার দাম শুরু হয় ১৫ হাজার থেকেই।
ছোট প্রতিমা পাওয়া যায় ১৫-২০ হাজারের মধ্যেই। তবে বড় প্রতিমা কিনতে ৮০ হাজারের বেশি টাকা গুনতে হয়।
অপরূপ সাজের প্রতিমাগুলো বিভিন্ন পূজামণ্ডপে স্থান পায়। কেউ আবার বাড়িতেও পূজার ঘরে প্রতিমাকে সাজিয়ে নেন। সেই সঙ্গে দেবী দুর্গার পূজায়, ভোগে নেন নানা প্রস্তুতি। ঘরে সাধারণত ছোট প্রতিমাগুলোই স্থান পায়। আর বড় প্রতিমাগুলো নেওয়া হয় পূজার মণ্ডপে। যেখানে দেবীর আশীর্বাদ নিতে ভিড় করেন ভক্তরা।