২৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ। এদিন পবিত্র শবে বরাত। মুসলিম ধর্মপ্রাণদের জন্য এটি একটি উত্তম রাত। যে রাতে মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য নফল ইবাদত করা হয়।
এদিন সন্ধ্যায় অন্ধকার নামলেই শুরু হয় শবে বরাতের নফল ইবাদত। রাতভর ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন মুসলিমরা। এরপর ভোরে ফজর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শেষ হয় ইবাদত।
মহান আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদী (সা.) তথা আখেরি নবীর উম্মতের জন্য ইবাদতের বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ইবাদতের মধ্যে পাঁচটি রাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যার একটি হচ্ছে শবে বরাত বা মুক্তির রাত তথা ‘নিসফ শাবান’। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)”
পবিত্র এই রাতে ইবাদতের প্রথম শর্ত থাকে পাক পবিত্রতা। যে পোশাকে ইবাদত করা হবে, আর যে স্থানে ইবাদত করা হবে তা থাকতে হবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। ইবাদত শুরুর আগে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা, গুছিয়ে নেওয়া আর নিজেকে প্রস্তুত করায় ব্যস্ত থাকেন মুসলিমরা।
শবে বরাতের কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। তাই পবিত্রতার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।
শবে বরাতের রাতে পবিত্র পোশাকে ইবাদত করতে হবে। মেয়েরা নতুন পোশাকও বানিয়ে নেন এই রাতের জন্য। অনেকে পুরোনো পোশাককেই ধুয়ে নতুনের মতো করে রাখেন। ইবাদতের জন্য অনেকেই সাদা কিংবা কালো পোশাক বাছাই করেন। আবার হালকা রঙের পোশাকও ইবাদতের জন্য বেছে নেন।
পুরুষরা এই রাতে বিভিন্ন মসজিদে ঘুরে ঘুরে ইবাদত করেন। এক্ষেত্রে অধিকাংশ পুরুষই সাদা পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন। গায়ে পাঞ্জাবি পরে, আতর মেখে, চোখে সুরমা লাগিয়ে জায়নামাজ হাতে বেরিয়ে পড়েন আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের ইবাদত করতে। সারারাত চলে ইবাদত বন্দেগি।
মনে রাখবেন, পোশাক নতুন হোক বা পুরোনো অবশ্যই তা পবিত্র হতে হবে। আর ঘরের যে স্থানে নফল নামাজ আদায় করবেন, কোরআন তেলোয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে ইবাদত করবেন সেখানে ভালোভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
পোশাক আর স্থানের পবিত্রতার সঙ্গে নিজেকেও পবিত্র করে নিতে হবে। এই রাতে ইবাদতের আগে হাত ও পায়ের নখ কেটে নিতে পারেন। হাদিস মোতাবেক, সন্ধ্যার পর ভালোভাবে গোসল দিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে পবিত্র এই রাতে ইবাদত শুরু করতে হবে।