৩৬০০ বছরের পুরোনো কফিনের ভেতরে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো পনির। যা ‘কেফির পনির’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি গবেষকরা এই পুরোনো পনিরের সন্ধান পেয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৩ সালে চীনের জিনজিয়াংয়ের শিয়াওহে কবরস্থান থেকে একটি কফিন তোলা হয়। যা ছিল ৩৬০০ বছরের পুরোনো। সম্প্রতি সেই কফিনের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়। আর তখনই আবিষ্কৃত হয় একটি পদার্থ। যা ‘কেফির পনির’ বলে জানান গবেষকরা।
স্কাই নিউজ-এর সূত্রে জানা যায়, কফিনটির ভেতরে তরুণীর মমি ছিল। তরুণীর গলায় পরানো ছিল সেই পদার্থটি। প্রথমে গবেষকরা গয়না বলে ধারণা করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা হয়। তখনই নিশ্চিত হয় এটি একটি পনির। যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম পনিরের টুকরা বলে উল্লেখিত করা হয়।
বেইজিংয়ের চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্স-এর জীবাশ্মবিদ কিয়াওমেই ফু জানান, কফিন থেকে পাওয়া সেই পনির নরম নয়। বরং এটি শুষ্ক, ঘন ও শক্ত ধূলিকণায় পরিণত হয়েছে। কফিনের ভেতরে দেহটি নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তারিম বেসিন মরুভূমির জলবায়ু শুষ্ক, এই কারণেই কফিনের ভেতরে দেহটি পুরোপুরি সংরক্ষিত ছিল।
জীবাশ্মবিদ কিয়াওমেই ফু আরও জানান, জিনজিয়াংয়ের শিয়াওহে কবরস্থান থেকে তোলা তিনটি সমাধির নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পুরোনো পনিরের সন্ধান নিশ্চিত করা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে পনিরের বিবর্তন নির্ধারণের জন্য এসব পরীক্ষা পরিচালিত হয়। নমুনাগুলো সংগ্রহের পর সেখানে ছাগল ও গরুর দুধের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যা পনির বলে নিশ্চিত করেছে। এটিকে ‘কেফির পনির’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গবেষণকরা জানান, কেফির পনির-এ ৩০০০ বছরের বেশি সময় ধরে সংরক্ষিত কয়েকটি দুগ্ধ অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ব্রোঞ্জ যুগের জিয়াওহে জনসংখ্যার দ্বারা উৎপাদিত হতো। যারা মিশ্র জীবনধারা ও কৌশল ধারণ করতেন। এই পনির ভোজ্যের উপযোগী নয় বলেও জানান গবেষকরা।
সূত্র : জিও নিউজ