বিশ্বজুড়ে এখন ভিডিওগ্রাফির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো মাধ্যমেই প্রকাশিত মজার বা ভিন্নধর্মী কোনো ভিডিও দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ে সবাই। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ছোট বয়স থেকেই বাচ্চারাও বিভিন্ন ধরণের ভিডিওর প্রতি আকৃষ্ট হয়। মজার সব ভিডিও দেখতে পছন্দ করে তারা। কিন্তু ছোট বয়সে ভিডিও বানিয়ে রেকর্ড করার সৌভাগ্য বোধহয় কমই হয়। যে সৌভাগ্য হয়েছে লুইসা রয়ের। মাত্র ৮ বছর বয়সে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন এই মেয়েটি। বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ড্রোন ভিডিওগ্রাফারের খেতাব জিতেছে লুইসা।
গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা লুইসা রয়। বয়স ৮ বছর ২৫৮ দিন। সবচেয়ে কম বয়সী (মেয়ে) ভিডিওগ্রাফার হিসেবে রেকর্ড গড়েছে সে। একটি ড্রোন ফুটেজের জন্য সে এজেডড্রোনফেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছে। আর এর মাধ্যমেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম উঠে।
ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইভান্সভিল ডে স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী লুইসা। পরিবারের সঙ্গে ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণ করেছে। সেখানে বেড়াতে গিয়েই ড্রোনে ভিডিও ধারণ করে। সেসব দেশের ভিডিও ফুটেজ দিয়েই তৈরি হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও।
লুইসার সেই ধারণকৃত ভিডিও চলচ্চিত্র উৎসবে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তার এক শিক্ষক। এরপর ২০২৩ সালে এজেডড্রোনফেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ভিডিও জমা দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ফেস্টিভ্যালে বেস্ট নিউ ড্রোন পাইলট অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে সেরার খেতাব পায়।
লুইসা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলে, ‘‘১৩ বছরের এক ছেলে ড্রোনের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ছাড়ে। সেই ভিডিও ইউটিউবে দেখে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।"
“পরিবারের কাছে উপহার হিসেবে একটি ড্রোন চেয়েছিলাম। কারণ, আমি বিজ্ঞানকে ভালোবাসি। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে আমার ভালো লাগে। এটি আমার কাছে আগ্রহের একটি বিষয়।"
“বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপদে আকাশে ড্রোন ওড়ানো বেশ কঠিন ছিল। আশপাশে কোনো বিমানবন্দর আছে কি না, বিদ্যুতের তার বা গাছ আছে কি না—এসব বিষয় খেয়াল করে ড্রোন ওড়াতে হয়েছে।"
তথ্যসূত্র:ইউপিআই