দরজায় কড়া নাড়ছে খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিন। আর যেকোনো উৎসব মানেই একগাদা উপহার দেওয়া-নেওয়া। বড়দিনের বিশেষত্ব হলো ছোটদেরকে উপহারসামগ্রী দেওয়া। শিশুরাও উপহার পেয়ে আনন্দ-উচ্ছাসে বাড়ি মাতিয়ে রাখে পুরো দিন।
তবে শিশুদের জন্য এসব উপহার কিনতে গিয়ে কিছু না কিছু বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে থেকেই তার একটি তালিকা করে রাখতে পারলেই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে যেকোনো শিশুকে উপহার দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে তার বয়স। সে অনুযায়ী উপহার দেওয়া উচিত। উপহারের তালিকায় সবার আগে থাকতে পারে-
চকোলেট
এমন কোনও শিশু নেই যে, চকোলেট পছন্দ করে না। তাই বড়দিনে যেকোনো বয়সী শিশুকে ভালো মানের চকোলেট উপহার দিতে পারেন। আর চাইলে এটি আপনার আশপাশের যেকোনো সুপার-শপ, শপিং-কমপ্লেক্সেই পেয়ে যাবেন। এছাড়া আরচিস, আগোরা, স্বপ্ন, মিনা-বাজারে পেতে পারেন সুন্দর সব মোড়কে সাজানো বিভিন্ন ফ্লেভারের চকলেট বার, ক্যান্ডি ও টফি।
খেলনাপাতি
শিশুদের উপহারের তালিকায় সবার আগে রাখতে হবে খেলাধুলার সামগ্রী। শিশুর জন্য বারবি সেট, ডলহাউস, টেডিবিয়ার, খেলনা গাড়ি, ট্রেন বা প্লেন সেট, লেগোসেট, ওয়াটার-গান হতে পারে খুবই আকর্ষণীয় উপহার।
স্কুল-পড়ুয়া বা একটু বড় শিশুদের জন্য পাজল সেট বা রুবিক্স-কিউবের মত খেলনাগুলোও উপহার হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। শীতকাল চলছে, তাই ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জামও হতে পারে চমৎকার একটি উপহার।
কার্ড
একটু বড় শিশুদেরকে বিভিন্ন শুভেচ্ছা-বার্তাসহ নানা ডিজাইনের কার্ডও উপহার দিতে পারেন। এগুলোও আপনি পেয়ে যাবেন শপিংমল অথবা বিভিন্ন স্টেশনারি দোকানে।
ছবি আঁকা বা সংগীতচর্চার সামগ্রী
কোনও কোনও শিশুরা ছবি আঁকতে পছন্দ করে। তাদের জন্য রং পেন্সিল, তুলি, স্কেচবুক, কালার বুকই হবে পছন্দের উপহার। যেকোনো লাইব্রেরিতে গেলেই পেয়ে যাবেন এসব জিনিস। এ ছাড়াও শিশু যদি গান গাইতে ভালোবাসে তাহলে মিউজিকের সরঞ্জামই হবে তার জন্য সেরা উপহার। শিশুর পছন্দ আর রুচি অনুযায়ী এসব কিনতে চলে যান রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায়।
জামা-জুতা
বড়দিনের উপহার হিসেবে পরিধেয় কাপড় বা জুতাও বাছাই করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে এসব জামা-জুতাগুলো যেন অবশ্যই সুন্দর ফ্যাশনের হয়। বড়দিন যেহেতু শীতেই, তাই নানারকম কালারফুল জ্যাকেট, সোয়েটার, বুট, শু, টুপি বা কাউবয় হ্যাট হতে পারে একেবারে ভিন্নধর্মী উপহার। এছাড়া ঘড়ি এবং ব্রেসলেটও রাখতে পারেন উপহারের তালিকায়।
বই
শিশুরা গল্প পড়তে পছন্দ করে। তাই উপহার হিসেবে গল্পের বই দিতে পারেন। তবে শুধু উপন্যাস বা শিক্ষামূলক বই নয়, তাদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিন কিশোর-ক্লাসিক সিরিজের বই এবং কমিক বই।
স্টেশনারিজ
পেন্সিল বক্স বা ব্যাগ, পানির বোতল, স্কুল ব্যাগ এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও উপহার হিসেবে মন্দ নয়। কারণ বড়দিন শেষেই শুরু হবে তাদের শিক্ষাজীবনের নতুন বছর। এসব নতুন উপহারগুলো হাতে পেলে তাদের আনন্দ হবে দ্বিগুণ।
উপরের তালিকা থেকে বেছে নিন আপনার শিশুর জন্য পছন্দের কোন উপহার। তারপর সুন্দর রঙ্গিন কাগজ দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে দিন ক্রিসমাস ট্রির পাশে। কিংবা নিজেই সান্টা সেজে হাজির হয়ে চমকে দিন আপনার শিশুকে আর রাঙিয়ে দিন তার বড়দিনের উদযাপনকে।