খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরের দিকে তাকালে বোঝা যায় শীতের আগমনীর খবর। যদিও বায়ুদূষণে জর্জরিত এই শহরে ঋতুর পরিবর্তন খুব একটা বুঝা যায় না। কিন্তু সময় বলছে শীত এসেছে। আর এই শীত অন্য সব ঋতু থেকে বেশ আলাদা। সারা বছর আবহাওয়া থাকে অনেকটা এক রকম আর শীত পুরোপুরি তার বিপরীত। আর তাইতো শীতের সময় আলাদা কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। যেমন-
- শীতে ঠান্ডা অনুভূতি হবে এইটাই স্বাভাবিক। তাই তখন শীতের ঠান্ডা অনুভূতি থেকে বাঁচতে গরম পোশাক যেমন সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, মোজা ও উষ্ণ টুপি পরিষ্কার করুন।
- শোবার জন্য ল্যাপ, কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেট এগুলোও প্রস্তুত করুন। যদি আগের বছরেরগুলোই ব্যবহার করবেন বলে ঠিক করে থাকেন তাহলে সেগুলো বের করে পরিষ্কার করে রোদে দিয়ে রাখুন। কারণ সারাবছর ধরে ব্যবহার না করার কারণে এগুলোতে ধূলাবলি জমে। আবার সঙ্গে রোগ জীবাণুও। তাই শীতের শুরুতে ধুয়ে নিন।
- শীতে যেহেতু বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায় তখন ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার এসময় আবহাওয়াও শুষ্ক থাকে। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হয়। আবার ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি।
- জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন। তাতে ঘরে বাতাস কম প্রবেশ করবে। এতে ঘর উষ্ণ থাকবে আবার ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
- সারা বছর ত্বকের যত্ন একই হতে পারে না। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে তাই তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এতে চামড়ার উপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে ত্বক উপযোগী বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার।
- শীতে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু বেশি হয়, তাই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা জরুরি। এসময় খাদ্যাভাসে বিশেষ নজর দিতে হবে।