শীত মানেই বনভোজনের আনন্দ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
শীত মানেই বনভোজনের আনন্দ
সূত্র: সংগৃহীত

শীতের মৌসুম মানেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা। শীত শুরুর আগে থেকেই নানা রকম পরিকল্পনা করা শুরু হয়। কেউ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। কেউ আবার বিদেশ পাড়ি জমান। তবে হাতে সময় কম থাকলে, শহরের আশপাশে বনভোজনে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। শীত এলেই পিকনিক বা বনভোজনের ধুম পড়ে। বছরের শেষে কিংবা নতুন বছরের শুরুতেই বনভোজনের যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। বন্ধু কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে রওনা করেন বনভোজনের উদ্দেশ্যে। আনন্দ আর স্মৃতিময় মুহূর্ত কাটে সারাদিন। স্মরণীয় হয়ে থাকে বনভোজনের বিশেষ দিনটি।

বহুল জনপ্রিয়, এই বনভোজন শব্দটির উত্পত্তি কোথায় জানেন? সাধারণত পিকনিক শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে বাঙালিরা বনভোজন শব্দটি লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাংলায় বনভোজন শব্দের দিয়ে বোঝানো হয় বনে বা প্রাকৃতিক পরিবেশে গিয়ে একসঙ্গে অনেকে মিলেমিশে খাবার খাওয়া এবং আনন্দ করা। “বন” শব্দটির অর্থ বন বা জঙ্গল। “ভোজন” শব্দের অর্থ খাওয়া। তাই “বনভোজন” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বনে ভোজন করা। বনভোজনে সবাই হইচই করবে। আনন্দ করবে। ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে। সেই সঙ্গে থাকবে খেলাধূলা, নাচ-গানের আয়োজন।

বাংলায় বনভোজনের আরেকটি সমার্থক শব্দ হল “চড়ুইভাতি”। এই শব্দটিও পিকনিক করা বা বনভোজনের জন্য ব্যবহৃত হয়। মনোরম ও সুন্দর স্থানে গিয়েই বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করা হয়। ময়দান বা উদ্যান, হ্রদ বা নদীর কিনারের মতো স্থানগুলোতেই বনভোজনের আয়োজন করা হয়। অনেকে ঐতিহাসিক জায়গাগুলোও বনভোজনের জন্য বেছে নেন।

পরিবারের স্বজনরা ও বন্ধুরা মিলে বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। আবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও শীতের মৌসুমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে কিংবা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনভোজনের আয়োজন করে থাকে।

পারিবারিক বনভোজনে খাবার বাক্সে বহর করেও নেওয়া হয়। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আয়োজিত বনভোজনে নির্বাচিত স্থানে গিয়েই খাবার রান্নার ব্যবস্থা থাকে। সেখানেই শীতল হাওয়ার নীচে বসে গরম খাবার উপভোগ করেন সবাই।

বনভোজন আয়োজনে দূরত্ব, সময় ও স্থান নির্ধারণ করে যানবাহন ভাড়া, ব্যক্তিসহ দিনের সংখ্যা নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ, খাদ্যসামগ্রী ক্রয় ও বাবুর্চি নির্বাচন, থালা-বাসন-কলস-গ্লাস সংগ্রহ, জ্বালানী সংগ্রহ, কোমল পানীয়, বিনোদনের জন্য অন্যান্য উপকরণ মিলে আয়োজন করা হয়। বনভোজনের  নির্দিষ্ট স্থানে রান্না আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়ে অথবা ভোজন পরবর্তী সময়ে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিনোদনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদেরকে আনন্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও দর্শনীর বিনিময়ে টিকিট বিক্রয় করে লটারীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থাও রাখা হয়।

Link copied!