ছাদবাগান কিংবা বারান্দায় শখের বাগানে এই শীতে লাগিয়ে ফেলতে পারেন কয়েকটি শীতের ফুলের গাছ। ঘুম থেকে উঠেই যখন বাগানের দিকে তাকাবেন, সঙ্গে সঙ্গেই ভরে উঠবে মন। জেনে নেওয়া যাক কোন ফুলগাছগুলো লাগাবেন-
গাঁদা
শীতকালীন ফুলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল হল গাঁদা ফুল। কয়েক ধরণের গাঁদা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। দোআঁশ, এঁটেল, বেলে বা পলি মাটিতে গাঁদা সবচেয়ে ভালো হয়। সূর্যের বেশি আলোতে এদের ফলন ভালো হয়। দিনে অন্তত পাঁচ-ছয়ঘণ্টা সূর্যের আলো প্রয়োজন হয়। চাইলে হলুদ রং ও গাঁদার মিষ্টি গন্ধে ভরিয়ে তুলতে পারেন বাগান।
ক্যামেলিয়া
কিছুটা গোলাপের মতো দেখতে, তাই ক্যামেলিয়া ফুলকে শীতের গোলাপ বলা হয়। এই গাছ না ছাঁটলে প্রায় ২০ ফুট উঁচু হয়ে যায়। এর গোড়ায় যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। আপনার বাগানের এটি স্থান দিতে পারেন ভালোবেসে।
ডালিয়া
শীতের সৌন্দর্য বাড়াতে ডালিয়া অন্যতম একটি ফুল। লাল, হলুদ, মেরুন বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন জাতের হয় এই ফুল। এর আকার, গঠন, পাপড়ির সৌন্দর্য মানুষকে সহজেই মুগ্ধ করে। যথেষ্ট রোদের প্রয়োজন হয় এই গাছে।
ক্যালেন্ডুলা
এটি সাধারণত পট গাঁদা হিসেবে পরিচিত এবং এটি বাগানের বা যেকোনো জায়গায় চাষ করা যেতে পারে। এই ফুলগুলি বিভিন্ন রঙের হয়, যেমন- গাঢ় কমলা, হলুদ ইত্যাদি। ভালো করে নিড়ানি দিয়ে যত্নে রাখতে হয় এই ফুলগাছ।
পিটুনিয়া
শীতকালীন অতি পরিচিত ফুল পিটুনিয়া। লাল, গোলাপি, সাদা, বেগুনি বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল। গাছ বসানোর পর প্রথম সাত দিন ছায়ায় রাখতে হয়, যেন হালকা রোদ লাগে। নিয়মিত পানি দিতে হয়, তবে মাটি ভেজা থাকলে পানি না দেওয়াই ভালো।
কসমস
গোলাপী, সাদা, বেগুনি বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল। সাধারণত এটিকে কসমস বা মেক্সিকান এস্টার বলে ডাকা হয়। কসমস গাছ ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। শীতকালে এই ফুলের চাহিদা অত্যন্ত বেশি থাকে।
চন্দ্রমল্লিকা
চন্দ্রমল্লিকা বিঙিন্ন রঙের হয়। চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। উর্বর বেলে-দোআঁশ মাটি এই ফুল চাষের আদর্শ। তবে, এর গোড়ায় যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার টব আগাছামুক্ত রাখা উচিত।
জিনিয়া
সুন্দর ও আকর্ষণীয় এই ফুলে গন্ধ নেই। এটি সাদা, হলুদ, লাল, বাদামী, কমলা, সবুজ বিভিন্ন রঙের হয়। জিনিয়া শীতকালীন ফুল হলেও সারাবছর চাষ করা যায়। দো-আঁশ মাটি এই ফুল উৎপাদনের জন্য বেশি উপযোগী।